১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Nadia: উঠোনে পড়ে খোলা বিদ্যুতের তার, শান্তিপুরে আতঙ্কে ঘরবন্দি গৃহস্থ, বাড়ি মালিককে দুষছে বিদ্যুৎ সংস্থা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-12 19:58:52   Share:   

সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) নিম্নচাপ শুরু হয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি (rain) শুরু হয়েছে। তবে এতেই বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাচ্ছে বড়সড় বিপত্তি। খোলা বৈদ্যুতিক তারে দুর্ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়। এবার নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের জলেশ্বর তিলিপাড়ার এক বাসিন্দারা দিন কাটাচ্ছেন ভয়ে ভয়ে। কারণ, বাড়ির উঠোনে খোলা বৈদ্যুতিক তার (electric wire), চারবার লিখিত অভিযোগ করেও মেলেনি ফল। শিশুকন্যাকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাছেন গৃহবধু।

তিলিপাড়ার বাসিন্দা সরমা বিশ্বাস মজুমদার, তাঁর পাঁচ বছরের একরতি শিশুকন্যা নিয়ে বেশিরভাগ সময় একাই থাকেন। কারণ, স্বামী পুলিসকর্মী (police) হিসেবে কলকাতায় কাজ করেন। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, প্রায় দু-বছর আগে কেনা জমির উপর দিয়েই বিক্রেতা স্বপ্না হালদার, শান্ত মনি হালদারদের বৈদ্যুতিক সংযোগের তার ছিল। বিক্রির সময় কথা দিয়েছিলেন দু-মাসের মধ্যে ওই তার সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু দু'বছর পার হয়ে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে চারবার লিখিত অভিযোগ দিয়েও মেলেনি ফল। 

পুলিসকর্মীর স্ত্রী হিসেবে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও মেলেনি ফল। আর এই কারণে বাচ্চা রয়েছে ঘরবন্দী, এমনকি অপরিচিত ব্যক্তি যদি হঠাৎ কেউ এসেও পারেন, তরিদাহত হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। তবে ওই বাড়ির সামনে ইলেকট্রিক অ্যাঙ্গেল ভেঙে পড়ার কারণে রাতের অন্ধকারেও যেকোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এবিষয়ে পূর্ববর্তী জমি বিক্রেতারা জানান, সেই সময় ইলেকট্রিক তার দেখেই জমি কিনেছিলেন স্বপ্না হালদার।

স্থানীয় পাড়ার যুবকরা জানান, দীর্ঘদিনের সমস্যা অনেকবার বসেও মেটানো সম্ভব হয়নি। জমির মালিকানা স্বত্ব পরিবর্তিত হলেও ইলেকট্রিক তারের কী হবে তা কোনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়নি ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই। 

ইলেকট্রিক সাপ্লাই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা বিনামূল্যে ইলেকট্রিক পোল এবং অ্যাঙ্গেল দিতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু পূর্ববর্তী জমির বিক্রেতা তা যদি নিতে না চান, তাহলে তাঁদের কিছু করার নেই। একজন গ্রাহকের ইলেকট্রিক কেটে দেওয়ার যথাযথ যুক্তি নেই।


Follow us on :