জীর্ণ শরীর, রোগা চেহারার এক বয়স্ক মহিলা। প্রণতি মজুমদারের ঠাঁই বন্ধ একটি স্কুলের(school) বারান্দায়। নিজের কোনও ছেলে বা মেয়ে নেই। তবে ছেলে আছে, মেয়ে আছে, স্বামীও আছে। কিন্তু সেই সন্তান তার স্বামীর আগের পক্ষের। তাই তিনি বিতাড়িত। নেই তার নিজের থাকার ঘরটুকু(home)। ১২ বছর ধরে কখনও কোনও স্কুলের(school) বারান্দা কিংবা রাস্তায় পড়ে দিন কাটাচ্ছেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা মহিলা। কোনওদিন খাবার জোটে কোনওদিন জোটে না। মূলত, ভিক্ষাবৃত্তি(begger) করেই দিন যাপন বৃদ্ধার। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার এই ঘটনায় আঁতকে উঠেছেন সকলে।
ডেবরার ত্রিলোচনপুরের সিজগেড়িয়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত(retired) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রাণবন্ধু মজুমদারের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তিনি। প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর প্রণতি দেবীকে বিয়ে করেন। তারপর থেকে স্বামীর প্রথমপক্ষের ছেলেমেয়েদের মানুষ করেন। তবে শেষকালে স্বামীর ঘরে থাকা হয়ে উঠেনি। বৃদ্ধার অভিযোগ, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে তিনি ঘর ছেড়েছেন। প্রায় ১৪ বছর এদিক ওদিক করেই দিন কাটাচ্ছেন। কখনও স্কুলের বারান্দায় আবার কখনও ক্লাবে দিন কাটে তার। বর্তমানে তার ঠাঁই হয়েছে ডেবরার এক বন্ধ স্কুলে। দুবছর স্কুলের বারান্দায় রোদ বৃষ্টিকে উপেক্ষা দিন কাটাচ্ছেন। এখন ভিক্ষাবৃত্তিই সম্বল। কিন্তু এভাবে কতদিন আর? কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। সব থেকেও যে নেই তার কিছুই।
অন্যদিকে তার স্বামীর দাবি, থানায় কেস করে বাড়ি ছেড়েছেন। এখন তাকেই দেখার কেউ নেই।
জীবনের শেষ উপান্তে এসে এভাবেই কি কাটবে বাকি দিনগুলো। নাকি ফিরতে পারবেন স্বামীর কাছে? নিজের মনকেই প্রশ্ন করে চলেছেন অসহায় বৃদ্ধা।