একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু (mysterious death) ঘিরে চাঞ্চল্য। মর্মান্তিক এই খবরে এলাকায় শোকের ছায়া। কাটোয়ার পানুহাট ইন্দিরা পাড়ের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পেশায় গাড়িচালক (car driver) নইম শেখ রবিবার রাতে বাড়িতে এসে খাওয়াদাওয়া করে শুয়ে পড়েন। নইমের পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও একটি ১৫ বছরের মেয়ে ছিল। কেউই জীবিত নেই। মেয়েটি পানুহাট রাজবংশী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস নাইনের ছাত্রী ছিল। স্বামী, স্ত্রী সহ মেয়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার। মৃতদের নাম নইম শেখ (৩৫), শেফালি বিবি, পিঙ্কি খাতুন (১৫)।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পেশায় গাড়িচালক নইমের ফোন আসে মালিকের কাছ থেকে সোমবার সাড়ে নটা নাগাদ। ওই একই বাড়িতে থাকে তার তিন দাদা। বারবার ফোনে রিং হচ্ছে, অথচ ভাই ফোন না ধরায় দাদারাই দরজায় ধাক্কা মারতে থাকে। অন্যান্য দিন সকাল সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে উঠে পড়ে নইম। এদিন দরজা না খোলায় এমনকী অনবরত ফোনের রিং হওয়া সত্ত্বেও ভাই ফোন ধরেনি বলে জানায় মৃতের দাদা। অবশেষে দরজা ভাঙার পর দেখা যায় তাদের ভাই নইম সিলিং-এ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে, বিছানায় মেয়ের নিথর দেহ, নিচে মেঝেতে নইমের স্ত্রী মুখে গ্যাঁজলা অবস্থায় পড়ে আছে। কোনও পারিবারিক অশান্তি ছিল না বলেই দাবি পরিবারের অন্যান্যদের।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, সংসারে সেভাবে কোনও আর্থিক সঙ্কট ছিল না। স্বচ্ছল পরিবার ছিল হাসিখুশি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পরিবার। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাস্থলে আসে কাটোয়া থানার পুলিস (police)। ময়না তদন্তের জন্য দেহগুলোকে নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। আত্মহত্যা না কীভাবে মৃত্যু, সেই রহস্য জানার চেষ্টায় কাটোয়া থানার পুলিস।