ইসিএল-এর (ECL) খনি দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যুতেও (death) এবার উঠল সিন্ডিকেট (Syndicate) বা নেক্সাস-এর গল্প। উঠে এল মান্থলি-এর কথা। আসানসোলের (Asansol) জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের সাতগ্রাম ইনক্লাইন কয়লাখনিতে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
এই বিষয়ে আইএনটিইউসির নেতা তরুণ গাঙ্গুলি (Tarun Ganguly) জানান, কয়লাখনির জিএম, এজেন্ট বা আধিকারিকদের সঙ্গে ডিজিএমএস অর্থাৎ ডাইরেক্টর অফ মাইন্স সেফটি (যাদের খনির নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব)-এর নেক্সাস রয়েছে। অবৈধ কয়লার সিন্ডিকেটের মত এখানেও সিন্ডিকেট রয়েছে। রয়েছে মান্থলি (টাকার লেনদেন)-এর বিষয়। সেই কারণেই নিরাপত্তার বিষয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করে কয়লা উত্তোলন চলছে। একই কারণে ওই শ্রমিকের মৃত্যুও হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে কাজে নেমেছিলেন সওদাগর ভূঁইয়া সহ আরও বেশ কিছু শ্রমিক। এরপরই ঘটে বিপত্তি। মাটির নিচে খনিগর্ভে চাল ধসে মৃত্যু হয় তাঁর। নিয়ম অনুযায়ী খনিতে শ্রমিকের কাজে নামার আগে অভারম্যানের দায়িত্ব থাকে খনির সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু তা করা হয়নি। অভিযোগ, এই সমস্ত অভারম্যানরা সুরক্ষার কাজ করেনই না। উল্টে হাজিরা খাতায় সই হয়ে যায়।
এআইটিইউসি-এর নেতা আর সি সিং ও ম্যানেজমেন্টের ওপরই দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছে। যদিও খনির এজেন্ট বিজয় কুমার নেক্সাসের কথা অস্বীকার করেছেন। তদন্তের কথাও বলছেন।
উল্লেখ্য, অবৈধ কয়লার সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কিছু সরকারি অর্থাৎ ইসিএল আধিকারিকের নাম, এমনকি জিএম পদমর্যাদার কর্মীর নামও। বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন তাঁরা। মান্থলি এবং নেক্সাসের অভিযোগ রয়েছে তাঁদেরও। এরপরেও ডিজিএমএস-এর সঙ্গে খনির জিএম এজেন্টদের নেক্সাসের ও মান্থলির অভিযোগ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খনি অঞ্চলে। খোদ আইএনটিইউসির গলায় এমন অভিযোগ প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে ইসিএল প্রশাসনকে।
ঘটনার পরই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।