বাংলাদেশের জল সীমানায় ঢুকে আটক ভারতীয় ৮ টি ট্রলার। বাঘের চর থানায় প্রায় ১৩৫ মৎস্যজীবী আটক। মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করতে আজ বৃহস্পতিবার জেলার ডিএমের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে কাকদ্বীপ এসডিও কার্যালয়ে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ইউনিয়ন। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে সূত্রের খবর। আটক ট্রলারগুলি হল এফবি অনীক, এফবি জয়লক্ষ্মী এক ও দুই, এফবি সুমিত্রা, এফবি মা করুণাময়, এফবি তারা মা, এফবি মা তারা। এগুলি সবই কাকদ্বীপ এলাকার ট্রলার। ট্রলারগুলি রওনা দিয়েছিল ২৪ জুন কাকদ্বীপ হারবার ও কালনাগিনী খাল থেকে। উল্লেখ্য, মাছ ধরার ক্ষেত্রে ২ রা মে থেকে ২৩ শে জুলাই পর্যন্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের সরকারের। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের জল সীমানায় প্রবেশ করেন মৎস্যজীবীরা। এরপরই বাংলাদেশের কোস্ট গার্ড তাদের ধরে।
এর ফলে বিপাকে মৎস্যজীবীদের পরিবার। টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন মৎস্যজীবী রিপন দাস। স্ত্রী শিল্পী দাস স্বামীর ঘরে ফেরার জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে আছেন। রিপন দাস ছিলেন এফ বি মা সুস্মিতা ট্রলারে। এছাড়াও অক্ষয়নগর গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার দাসও ছিলেন ট্রলারে। কাকদ্বীপ স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের আশুবাবুর চকের গ্রামবাসীরা সরকারের কাছে আবেদন রেখেছেন আটক থাকা মৎস্যজীবীদের দ্রুত ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।