Share this link via
Or copy link
বগটুই হত্যাকাণ্ডের (Bogtui Murder) মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু। সিবিআই হেফাজতে (CBI Custody) থাকাকালীন মৃত্যু লালনের, এমনটাই কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। তাদের দাবি, 'আত্মহত্যা করেছেন লালন।' বীরভূমে (Birbhum) সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু এই অভিযুক্তর। কীভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় বগটুই-কাণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার অভিযুক্তর মৃত্যু? সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ৪ ডিসেম্বর ৬ দিনের সিবিআই হেফাজতে ছিলেন লালন। ১০ ডিসেম্বর তাঁকে ফের কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে ৩ দিনের জন্য পাঠানো হয়। সেই হেফাজতে থাকাকালীন এই মৃত্যু। যদিও পরিবারের অভিযোগ মারধরের কারণে মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। সিবিআইয়ের শাস্তির দাবিতে সরব তাঁরা। হাইকোর্টের নির্দেশেই এই মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই।
২১ মার্চ খুন হয়েছিলেন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপুরপ্রধান ভাদু শেখ। তিনি ঘটনাচক্রে বগটুই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বোমা মেরে তাঁকে খুন করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর সে রাতেই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পরপর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ১০ জনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছিল দমকল এবং জেলা পুলিস। এই ঘটনায় নাম জড়ায় ভাদু শেখ ঘনিষ্ঠ লালন শেখের। বগটুই-কাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন লালন শেখ। বগটুই হত্যাকাণ্ডের ৯ মাস পর ঝাড়খণ্ডের পাকুর থেকে ৩ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। যদিও গ্রেফতারির পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে লালন দাবি করেছিলেন, ভাদু খুনের পর তিনি রামপুরহাট হাসপাতালে ছিলেন। ঘটনাস্থলে ছিলেন না।