রাজ্যজুড়ে পুলিসকে অস্ত্র ও বেআইনি বোমা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) স্বয়ং। তারপর পূর্ব বর্ধমান (east bardhaman) জেলা জুড়েও বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও বোমা (arms and bomb) উদ্ধার করে পুলিস। এবার কাটোয়ার (katwa) গড়াগাছায় কলকাতার এসটিএফ ও কাটোয়া থানার পুলিস যৌথ অভিযান চালিয়ে যাত্রীবাহী বাস থেকে নামিয়ে প্রচুর বিস্ফোরক সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম এজাবুল শেখ। তার বাড়ি পূর্বস্থলী থানার (purbasthali) খড়দত্ত পাড়া এলাকায়। তার কাছে থেকে ৬ কেজি বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করেছে পুলিস। ধৃত দুষ্কৃতী বিস্ফোরক সাপ্লাইকারী ছিল বলেই খবর। তবে এই উদ্ধারের ঘটনায় সাম্প্রতিককালে প্রথম। তাই এসটিএফ ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিসের এটা বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগে থেকেই ওই রোডের উপর ওত্ পেতে বসেছিল কলকাতার এসটিএফের একটি দল ও কাটোয়া থানার পুলিস। তারা সাদা পোশাকেই অপেক্ষা করছিল। এরপর কাটোয়া থেকে গড়াগাছাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস আসতেই ঘিরে ফেলে পুলিস। তারপরেই বাসের ভিতর থেকে এজাবুলকে নামানো হয়। পাশাপাশি বারুদের ব্যাগটিও সাবধানে নামানো হয়। ধৃত দুষ্কৃতী বারুদ ভর্তি ব্যাগটি নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রাথমিকভাবে পুলিস সূত্রে খবর, ওই বারুদ দুরকমের ছিল। একটি আর্সেনিক সালফায়েড ও অন্যটি ছিল পটাসিয়াম ক্লোরাইড। দুটি রাসায়নিক মিশিয়েই বোমা তৈরি হয়। এর মধ্যে আর্সেনিক সালফায়েড লাল আর পটাসিয়াম ক্লোরাইড সাদা বলে পরিচিত। এগুলো বিহার থেকে বীরভূম হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হাতবদল হয়ে দুষ্কৃতীদের কাছে পৌঁছে যায় বলে খবর। তবে ধৃত দুষ্কৃতী কার কাছ থেকে বারুদ নিয়ে আসছিল বা কোথায় সাপ্লাই দিত, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা যায়, এই চক্রের বাকি মাথাদেরও নাগাল পেতে অভিযান চালানো হবে।
এদিকে যাত্রীবাহী বাসে এভাবে বিস্ফোরক নিয়ে কীভাবে একজন দুষ্কৃতী যাচ্ছিল, বিষয়টি রীতিমত গোয়েন্দাদের ভাবিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দূর্ঘটনা ঘটে অনেক প্রাণহানি ঘটে যেতে পারত, আশঙ্কা করছেন তাঁরা। রাজ্য সড়কে পুলিসি নজরদারি এড়াতেই যাত্রীবাহী বাসকে বেছে নিয়েছিল দুষ্কৃতী, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।