বৃহস্পতিবার সকাল হতেই দর্শন চিতাবাঘের। আগে পায়ের ছাপ পেলেও সেইভাবে কেউ নজর দেয়নি। তবে বৃহস্পতিবার সকালে খবর জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাটি কোচবিহার শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকার। বিভিন্ন বাড়ি এবং এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে সে বাগে এল। ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে কাবু করা হল বাঘকে। পরে তাকে খাঁচাবন্দি করা হয়।
দীর্ঘ প্রায় ৬ দিন ধরে সুন্দরবনের কুলতলিতে বাঘের আতঙ্কে ভুগেছিল গ্রামবাসী। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটেছিল বন দফতরের কর্মীদের। ঘুম উড়েছিল গ্রামবাসীদেরও। রাত কেটেছে বাড়ির বাইরেই পাহারা দিয়ে। তবে উদ্ধারের পর স্বস্তি পেয়েছিল গ্রামবাসী। অনুমান করা হয়েছিল, জঙ্গলে মিঠাজলের অভাবে অথবা খাবারের অভাবে বাঘ লোকালয়ে এসে হাজির হচ্ছে। তবে এবার কোচবিহার শহরে চিতাবাঘের হানা। চিতাবাঘের আতঙ্কে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা সকালেই দাবি করেন, এলাকায় চিতাবাঘের দেখা মিলেছে। বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল আগেই, তবে তা শুধুমাত্র অনুমান করা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেহ বাস্তবের রূপ নেয়। একটি বাড়ির ভিতরে বাঘটিকে দেখে লাঠি-সোটা নিয়ে ভিড় জমান এলাকাবাসী। লাঠি দিয়ে তাড়া করায় বাঘটি স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে হাজির হয়। বাঘের খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ হাজির হয় বন দফতরের কর্মীরা। ব্যরিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় এলাকা। প্রাণহানি যাতে না হয়, তার জন্য এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বন দফতর সূত্রে খবর, স্থানীয় মনোজ সরকার নামে এক ব্যক্তির বাথরুমে গিয়ে আটকে পড়ে চিতাবাঘটি। এখানেই তাকে পরে ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে কাবু করা হয়।