রাজ্য সরকার (state govt) সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে চালু করেছে বেশ কিছু প্রকল্প। তারই মধ্যে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (lakshmi bhandar)। যেখানে ২৫ উর্দ্ধ মহিলারা পাবেন মাসে ৫০০ টাকা করে। কিন্তু এই প্রকল্প ঘিরেও বেশ কিছু জায়গায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এক মহিলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ায় বিডিওর কাছে অভিযোগ করেন তাঁর স্বামী। জানা যায়, চোপড়া (chopra) ব্লকের দামোদর খূরী এলাকার বাসিন্দা আইসা খাতুন নামে এক মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আবেদন করেন। আবেদনের পর থেকে তিনি সেই প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তাঁর সেই টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ঢুকছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এবিষয়ে কয়েকমাস আগে চোপড়া বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানান ওই গৃহবধুর স্বামী জরিফুল ইসলাম। কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত সেই প্রকল্পের টাকা তাঁর স্ত্রী পাননি বলে অভিযোগ। এরপর চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আজাহারউদ্দিনের কাছে অভিযোগ জানাতে হাজির হন ওই মহিলার স্বামী।
আর এই বিষয় লেগেছে রাজনৈতিক রং। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, মাইনরিটি স্কলারশিপের টাকা নিয়ে জেলাতে অনেক দুর্নীতি চলছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য যখন গৃহবধূরা ফর্ম ফিলাপ করেছেন, তখন কিছু অসাধু ব্যক্তি তাঁদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে সেই টাকাকে নিজেদের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে প্রকৃত গৃহবধূরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছে না। এই অভিযোগ জেলাতে নতুন নয়। অবিলম্বে প্রশাসনের এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।
যদিও চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহঃ আজাহারউদ্দিন জানিয়েছেন, চোপড়া ব্লকে প্রায় ৫০ হাজার লক্ষীর ভাণ্ডার রয়েছে। তার মধ্যে ১০-২০ টা ভুল হতে পারে। কারও যদি এই বিষয় নিয়ে সমস্যা হয়, তাহলে তিনি অভিযোগ জানাতে পারেন। সেগুলি সংশোধন করার চেষ্টা করা হবে। তিনি আরও জানান, যদি কেউ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।