তৃণমূলে (TMC) সরষের মধ্যে ভূত রয়েছে। কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) যখন জেলে ছিলেন, তখন অন্যান্য তৃণমূল নেতারা আনন্দ উদযাপন করছিল। সেই সময় কুণাল ঘোষ ধর্মেন্দ্র প্রধানের (Dharmendra Pradhan) সাথে দেখা করেছিলেন। তখন তিনি ইডি, সিবিআই-এর (ED CBI) হাতে সমস্ত তথ্য তুলে দিয়েছেন। কার কাছে কত টাকা আছে, সে সব তথ্য যেখানে দেওয়ার, সেখানেই তিনি তুলে দিয়েছেন। তবে শুধু কুণাল ঘোষ নয়, তৃণমূলের ডান হাত, বাম হাত অনেকেই আছেন, যাঁরা নিয়মিত আমাদের তথ্য সরবরাহ করছেন।
আজ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের বৈলাপাড়ায় বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, সৌমিত্র খাঁ এখন তৃণমূলে নাম লেখানোর জন্য তৎপর হয়ে আছেন। সেজন্য তৃণমূলের বহু নেতার সাথে তিনি যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের যাঁর বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তিনি, সেই কুণাল ঘোষ বলেন, সৌমিত্র খাঁয়ের কথার গুরুত্ব দেওয়া আর সার্কাসের জোকারকে সিরিয়াস নেওয়া একই। উনি হচ্ছেন নিপাট বিনোদন। রাজনীতির ক্লাসে যাঁরা ১,২ তে পড়েন, তাঁরা এইসব বলেন। ওনার স্ত্রী দক্ষ৷ যার জন্য উনি জিতলেন। যে লক্ষ্মী রাখতে পারে না ঘরে, সে লক্ষ্মীছাড়া। সন্দেহের বাতাবরণ করে লাভ নেই৷