LATEST NEWS
28 May, 2023

Kmc: পুরনো রেকর্ডকে ডিজিটালাইজড করতে নয়া রেকর্ড রুম তৈরির পরিকল্পনা কলকাতা পুরসভার
CN Webdesk      শেষ আপডেট: ২০২২-০৭-২২ ১৬:০৩:৫৬   Share:   

কলকাতা পুরসভার কাছে ১৯৮৪ সালের আগের রেকর্ড সেই ভাবে নেই। এবার সেই সব পুরোনো রেকর্ড খুঁজে বার করার পাশাপাশি সমস্ত রেকর্ডকে ডিজিটালাইজড করার জন্য কলকাতা পুরসভা নয়া রেকর্ড রুম তৈরি করার পরিকল্পনা শুরু করেছে। পুরসভা সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ হবে এই নতুন রেকর্ড রুমের কাজ। ইতিমধ্যে পুর কমিশনার বিনোদ কুমার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নয়া রেকর্ড রুম তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন।


Ad code goes here

জানা গেছে ডি জি সিভিল পি কে দুয়ার নেতৃত্বে এই রেকর্ড রুম তৈরি করা হবে। তবে কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে নয়। নেচার পার্কের কাছে কলকাতা পুরসভার নয়া রেকর্ড রুম ৯ নম্বর বোরোর অন্তর্গত বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের কাছে হিন্দু কারখানায় তৈরি হবে গোডাউন। এই নেচার পার্কের কাছেই রেকর্ড রুমে কলকাতা পুরসভার সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সংরক্ষণ করা হবে বলে সূত্রের খবর। 

Ad code goes here

জানা গেছে যে কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে অবস্থিত রেকর্ড রুমের থেকে চাপ কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যেকটি বিভাগের কন্ট্রোলিং অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে নিয়মিত প্রয়োজন নেই, এই ধরনের নথিগুলিকে বাছাই করতে হবে। শুধু তাই নয় সেই সব নথির একটা নির্দিষ্ট প্রণালী তৈরি করে তার তালিকা চূড়ান্ত করার নির্দেশ পৌর কমিশনারের। এই প্রক্রিয়ায় যেসব রেকর্ড তৈরি করা হবে তার উপরে লেবেল লাগিয়ে বাক্সবন্দি করে রাখতে হবে। যাতে পুরোনো রেকর্ড খুঁজতে কোনও রকমের সমস্যা তৈরি না হয়। 

Ad code goes here

কলকাতা পুরসভার এই সিদ্ধান্তের তীব্র আপত্তি জানালেন কে এম সি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অনুতোষ সরকার। তিনি জানান যে পুর কর্মীদের শুধু নয়, এই সিদ্ধান্তের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়বেন সাধারণ মানুষ। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা বলে কিন্তু তারাই সাধারণ মানুষকে বিপদের ফেলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

Ad code goes here

একই ভাবে কংগ্রেস পরিচালিত শ্রমিক কর্মচারী সংগঠন কে এম সি মজদুর পঞ্চায়েতের সম্পাদক শংকর রায় এই সিদ্ধান্তকে স্বৈরাচারি সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন পুর কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বে। কারণ যদি উত্তর কলকাতার মানুষকে সেই একেবারে দক্ষিণ দিকে বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের দিকে যেতে হয় তাহলে তাদের সমস্যা আরও বাড়বে বই কমবে না বলে অভিযোগ জাতীয় কংগ্রেসের শ্রমিক নেতা শংকর রায়ের।  

Ad code goes here

Ad code goes here

Ad code goes here

Follow us on :