Share this link via
Or copy link
রাজ্য রাজনীতি যখন গরু চুরি, চাকরী চুরি ও কয়লা চুরি নিয়ে তোলপাড় তখন ভিন্ন চিত্রই পূর্ব বর্ধমানে (East Burdwan)। বর্ধমানে নতুন ট্রেন্ড কলা চোর! বড় করে বললে কলা চোর সিপিআইএম (cpim)! জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমের (social media) ওয়ালজুড়ে অত্যন্ত এমনটাই ফুটে উঠছে। সেখানে কোথাও দেখা যাচ্ছে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে (Muhammad Salim) কাঁধে করে কলার কান্দি নিয়ে যেতে, তো কোথাও আবার সিপিএমের দলীয় প্রতীক জুড়ে কলা!তাতে কোথাও লেখা কলা চোর সিপিআইএম!
কোথা থেকে এলো এই ট্রেন্ড? খোঁজ মিললো তারও।
বুধবার বর্ধমানে সিপিআইএম পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির আহ্বানে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে আইন অমান্য কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি, দুর্নীতি, বেকারত্বের সমস্যা-সহ একাধিক দাবিতে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু মিছিল কার্জন গেটে পৌঁছতেই শুরু হয় ধন্ধুমার কাণ্ড। শুরু হয় ইটবৃষ্টি, টিয়ার গ্যাস, লাঠিচার্জ, মারধর। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কার্জনগেট চত্বর। এরমাঝেই দেখা যায় একদল সিপিআইএম কর্মীকে এক কলা ব্যবসায়ী না থাকার সুযোগে ছড়া ছড়া কলা নিয়ে পালাতে। সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। আর সেটাই অস্ত্র করে শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূল কর্মী-সহ তৃণমূলের একাধিক সামাজিক মাধ্যম গ্রুপে দেখা যায় এই নিয়ে সিপিআইএম-কে আক্রমণ করতে।
প্রাণ ভয়ে দোকান ছেড়ে পালানো মালিক মনেশ্বর সাউ জানান, "দোকানে না থাকার সুযোগে মিছিলে আসা লোকেরা কলা চুরি করে নিয়ে গিয়েছেন। এমনকি প্রচুর কলা তাঁরা নষ্টও করে দিয়েছেন।
পূর্ববর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, "এই তো সিপিআইএম। ৩৪ বছর ধরে তারা লুঠ করেছে। এখনও সেই স্বভাব ভুলতে পারেনি হয়ত। নিজেদেরকে এরা দাবি করে আমরা গরীবের পার্টি, তাই যদি হয় তাহলে একজন গরীব কলা ব্যবসায়ীর কলা চুরি কেন ভাই? আমারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।
যদিও এর পিছনে তৃণমূলের লোকেরাই জড়িত বলে দাবি সিপিআইএম পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক সৈয়দ হোসেনের। তাঁর দাবি, মানুষের অধিকার রক্ষার্থে সিপিআইএম-র স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে হেয় প্রতিপন্ন করতে তৃণমূল এই চক্রান্ত করেছে।
যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।