২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Utkarsha: উৎকর্ষ বাংলার আওতায় 'ভুয়ো' নিয়োগপত্র প্রদানের অভিযোগ, মাথায় হাত চাকরিপ্রার্থীদের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-09-16 17:26:56   Share:   

উৎকর্ষ বাংলা (Utkarsha Bangla) প্রকল্পের আওতায় একগুচ্ছ চাকরির প্রতিশ্রুতি নেতাজি ইন্ডোরের সভায় সম্প্রতি দেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। এমনকি দিন কয়েকের মধ্যেই নিয়োগপত্র (Appointment Letter) হাতে পেয়ে যাবেন চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীরা। এই ঘোষণাও ভরামঞ্চে করেন তিনি। ১২ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সেই অনুষ্ঠানে বাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের। সেখানেও মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ পত্রের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। এমন ঘোষণাও নাকি করা হয়েছিল, বাসে ফেরার সময় অফার লেটার দিয়ে দেওয়া হবে। তাও দেওয়া হয়নি। সেই অনুষ্ঠানের পর হুগলি জেলার ১০৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে পরে ফোন করে জানানো হয় হুগলি এইচআইটি কলেজ থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করতে। প্রত্যেকের মোবাইলে একটি পিডিএফ ফাইল পাঠানো হয় বৃহস্পতিবার। শুক্রবার হুগলি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে অফার লেটার নিতে আসে অনেকেই। সেই চিঠিতে লেখা গুজরাতের মারুতি সুজুকি কোম্পানিতে দু'বছরের আইটিআই প্রোগ্রামে ভেহিকেল টেকনিক্যালের ট্রেনিং দেওয়া হবে। এগারো হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন তাঁরা।

সেন্টার ফি বহন করবে সুজুকি মোটরস গুজরাট প্রাইভেট লিমিটেড। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নথি যাচাইয়ের পরই প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হবে। এমনকি, চিঠির নিচে সেন্টার ম্যানেজার হিসাবে ভেদপ্রকাশ সিংয়ের নাম-ফোন নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নম্বরে ফোন করে প্রার্থীরা জানতে পারে এই প্রশিক্ষণের ব্যপারটাই ভুয়ো।

ঠিক কী বলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা? যেভাবে তাদের চিঠি ধরানো হয়েছে প্রশিক্ষণের জন্য এটা কোন পদ্ধতি নয়। গুজরাতে প্রশিক্ষণের জন্য যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করে প্রত্যেকের জন্য আলাদা চিঠি সংস্থার প্যাডে ইস্যু হয়। সানফাস্ট নামে এক সংস্থার সঙ্গে সুজুকি যৌথভাবে প্রশিক্ষণ দেয়। এমনটাই চাকরিপ্রার্থীদের ফোনে জানান ভেদপ্রকাশ। সানফাস্টের পক্ষ থেকে সিদ্ধার্থ শংকর জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই বিষয়টি তাঁরা জানতে পারেন। এই ধরনের কোনও চিঠি তারা অন্তত ইস্যু করেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগ নেই। ইতিমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের মেইল করে জানানো হয়েছে।

তাঁদের সংস্থা বিহার উত্তরপ্রদেশের ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কেউ এখনও প্রশিক্ষণ নেয়নি। যেভাবে কোম্পানির প্যাড ব্যবহার হয়েছে, তাতে স্পষ্ট গোটা বিষয়টা ভুয়ো। আর এতেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। অফার লেটার হাতে পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা আশাহত। কেউ কেউ আবার গুজরাতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে নারাজ। তাই বিষয়টি জানাজানি হতেই অনেকে অফার লেটার নিতেও আসেননি। যদিও এবিষয়ে নোডাল অফিসার কিছু বলতে চাননি। এই ভুয়ো নিয়োগ অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা।

রীতিমতো ট্যুইট করে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষ। যদিও চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার জানান, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এই নিয়োগ দিয়েছেন। আমি এবিষয়ে কিছু জানি না। তাও জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। এদিকে করিগরি শিক্ষা দফতরের নিয়োগপত্র নিয়ে বিতর্কে রিপোর্ট তলব করলো দফতর। বণিক সভার মাধ্যমে চলছিল নিয়োগের কাজ। তাদের থেকেই রিপোর্ট তলব। কোথায় সমস্যা, কেন সমস্যা তা জানাতে বলা হল।চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তা দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দফতরের। এমনটাই সুত্রেরর খবর। 


Follow us on :