গ্রীষ্মের চড়া রোদে প্রাণ অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল। সূর্যের প্রখর তাপে প্যাচপ্যাচে গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিলেন বঙ্গবাসী। আর সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবহাওয়া দফতরের ঘোষণা অনুযায়ী কালবৈশাখীর দাপট দেখা গেল বিকালেই। সঙ্গে মুষলধারায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত। তাতে যথেষ্ট স্বস্তি মিললেও অশেষ দুর্ভোগে পড়তে হল রাজ্যবাসীকে। সন্ধ্যায় মৃত্যুরও খবর আসতে শুরু করেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কম নয়।
বর্ধমানের ভাতারে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম মানিক দাস (৬৫)। বাড়ি ভাতারের পালার দাস পাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাঠে গরু চড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। বিকেল নাগাদ হঠ্যাৎ করে বাজ পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠায়।
বর্ধমানেরই ৫ নম্বর ওয়ার্ডে রাজাবাগানে ঝড়ে চায়ের দোকানের উপর গাছ পড়ে একজন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স এবং দমকলের কর্মীরা উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে।
মৃতের নাম আলি ইনশান (১৪)।
হঠাৎ প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় বাঁকুড়া জেলায়। আর তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জয়পুর ব্লকের জগন্নাথপুর অঞ্চলের আঙ্গারিয়া গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি, গাছ ভেঙে পড়েছে এলাকাজুড়ে। রাস্তায় পড়ে রয়েছে গাছ। সেই গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করতে বের হয়েছেন অনেকেই।
কারও কারও মাটির বাড়ির ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে গেছে, আবার কোনও বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। প্রবল গতিবেগ থাকায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
ঝাড়গ্রামে শুরু হয় ঝড়, সাথে শিলাবৃষ্টি। শনিবার দুপুর থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। তার পরেই কালবৈশাখীর জেরে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া সাথে স্বস্তির বৃষ্টি। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তিতে ঝাড়গ্রামবাসী।