জঙ্গলমহলে ফের কি মাথাচাড়া দিচ্ছে মাওরা? তবে সজাগ দৃষ্টি রাখছে রাজ্য প্রশাসন। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় চলছে নাকা চেকিং। সিসিটিভির নজরদারিতে বহু এলাকা।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ফের বৃহস্পতিবার সকালে গড়বেতা থানার গনগনি এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য। পোস্টারে আদিবাসীদের অবিলম্বে পাট্টার ব্যবস্থা করার দাবি তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, মাওবাদী নাশকতার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহল জুড়ে জারি হাই অ্যালার্ট। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা পুলিস সুপার জানিয়েছেন, জঙ্গলমহল এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি, চলছে নাকা তল্লাশি। এরই মধ্যে নতুন করে পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে এলাকায়। যদিও এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিস সুপারের দাবি, পোস্টার দেওয়ার নেপথ্যে কারা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিসের তরফে। তবে প্রাথমিক অনুমান, স্থানীয় দুষ্কৃতীরা ঘটিয়েছে এমন ঘটনা। ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
একদিকে যেমন মাওবাদী আতঙ্ক বাড়ছে জঙ্গলমহলে, ঠিক তখনই জঙ্গলমহলে আরও এক অন্য চিত্র ধরা পড়ল। এবার বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের শিক্ষিত বেকার যুবকরা কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্য পাড়ি দিচ্ছে। অভিযোগ, রাজ্য সরকার উন্নয়নের কথা বললেও উন্নয়ন কোথায়? কর্মসংস্থান না হওয়ায় আর্থিক সংকট একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। তাই এলাকার এলাকার মানুষজন চাইছেন তাঁদের কর্মসংস্থান হোক। তবে বাঁকুড়ায় মূলত পর্যটন শিল্পকে মাথায় রেখে কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু।
অন্যদিকে জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রী কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। সমালোচনায় সরব বিজেপি।
ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়িতে সিআরপিএফের তল্লাশি অভিযান অব্যাহত। কয়েক দিন আগেই লবনিতে একটি তাজা ল্যান্ডমাইন খুঁজে পায় যৌথবাহিনী। ২০১১ সালের পর আবার জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থ্যার রিপোর্ট, মাওবাদীরা কোনও বড় ঘটনা ঘটাতে পারে জঙ্গলমহলে। ১৫ দিনের জন্য হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের মাওবাদী প্রভাবিত থানাগুলোয়। প্রত্যেক পুলিসকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্ডার এলাকায় চিরুনি তল্লাশি ও নাকা চেকিং বাড়ানো হয়েছে।