Share this link via
Or copy link
ফের শুটআউটের (shootout) ঘটনা। নরেন্দ্রপুরের পর এবার নৈহাটির (Naihati) শিবদাসপুর। শনিবার শিবদাসপুরে ভরসন্ধ্যায় চলে গুলি, ফাটে বোমা (bomb)। আহত (injured) হয় অন্তত তিনজন। আহতদের তড়িঘড়ি কল্যাণীর হাসপাতালে (hospital) পাঠানো হয়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে উত্তেজনা রবিবার আরও একধাপ বাড়ে। আহত জাকির হোসেনের মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন থাকাকালীনই। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে।
জানা যায়, ঘটনায় তিনটি গুলি লাগে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির। তবে রবিবার সকালে তাঁর এবং অন্য আরও একজন ইউসুফ আলি মণ্ডলের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর ছিল। তবে ব্লক সভাপতির দাবি, আহতরা তৃণমূল কর্মী। সকাল হলেও এলাকা এখনও থমথমে। পুলিসি টহল চলছে। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা কেউ এখনও ধরা পড়েনি। আতঙ্কিত এলাকাবাসী। এদিকে, জমিজমা নিয়ে ঝামেলার জেড়েই হামলা বলে জানাচ্ছেন আক্রান্তের দাদা বাবলু মণ্ডল।
পরিবার সূত্রে খবর, জাকির হোসেন মণ্ডল আপাতত চিকিৎসাধীন কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের সিসিইউতে। শনিবার এ পজেটিভ চার বোতল রক্ত লেগেছিল তাঁর। এরপর ফের চার বোতল রক্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল চিকিৎসকরা। সেই রক্ত বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে অবশেষে পরিবারের লোকজনদের ছুটে যেতে হয় কলকাতায়। রবিবার সকালে সেই চার বোতল রক্ত বরফ দিয়ে আনা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে, এমনটাই জানালেন তার পুত্র বাকিবুল্লা মণ্ডল।
অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, দীর্ঘ চার ঘণ্টা হাসপাতালে ওটি চলার পর শরীর থেকে তিনটি গুলি বের করা হয়। রাত একটা কুড়ি নাগাদ হাসপাতালের সিসিইউতে দেওয়া হয় তৃণমূল কর্মী জাকির হোসেনকে।