৭ বছরের নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায়। মৃত রাকেশ কাহারের বাড়ি বেড়াচাঁপার সাধুখাঁ পাড়ায়। শিশুটির বাবা পেশায় ভ্যানচালক। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে ৭ বছরের শিশুকে খুনের অভিযোগ। মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ। অভিযোগের তিরে এক শিক্ষক। পাড়ার আমবনে কয়েকজন স্প্রে করতে গিয়ে পুকুরের মধ্যে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে। পরিবারকে খবর দেওয়া হলে তারাই মৃতদেহ শনাক্ত করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৮ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল রাকেশ কাহার নামে ওই শিশু। এরপর দেগঙ্গা থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগও দায়ের হয়। ১৩ দিনের মাথায় সোমবার উদ্ধার হয় ওই শিশুর মৃতদেহ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতু গড়ের পিছনে একটি পুকুর থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। কাহার পরিবারের সঙ্গে এলাকারই এক শিক্ষক হারান পারুইয়ের জমিজমা নিয়ে সমস্যা চলছিল। এর মধ্যে এই ঘটনায় হারান পারুইয়ের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে কাহার পরিবার। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাকেশ কাহারের বাবা স্বপন কাহার জানান, হারান পারুইয়ের কাছ থেকে তিনি আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলেন। কিন্তু সেই জমি তিনি পাননি বলে অভিযোগ। এরপরই টাকা ফেরত চান তিনি। আর তাতেই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়। তিনি আরও জানান, ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দলিল করেছিলেন। অথচ সে জমি হাতেই পাননি। এমনকী হারান পারুই হুমকি দেন বলে দাবি স্বপন কাহারের। শিশুটির বাবার অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত বিবাদে স্থানীয় হারাণ পাড়ুই তার ছেলেকে খুন করেছে।
এদিকে পুলিস দেহ উদ্ধার করতে গেলে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। শিশু খুনের অভিযোগে বেড়াচাপা হাটখোলা অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হারান পাড়ুইকে গ্রেফতার করে দেগঙ্গা থানার পুলিস। তবে সন্তানহারা মা সন্তান ফিরে পেতে চান। আর কিছু দাবি নেই তাঁর।