আজ খুশির ইদ। কিন্তু আজ বগটুইয়ের বাতাস ভারী। মন ভারাক্রান্ত স্বজনহারা পরিবারের। শোকের আবহে খুশির ইদ চাননি বগটুইবাসী। এই দিনটিতে খুশির চাঁদ প্রীতির আলিঙ্গন ছড়িয়ে দিত বগটুই গ্রামে। কিন্তু এমনটা কি হওয়ার কথা ছিল? স্বজনহারাদের দাবি, যেদিন বগটুই গণহত্যার দোষীদের ফাঁসি হবে, সেই দিন হবে প্রকৃত খুশির ইদ। প্রশ্ন একটাই, আজ বীরভূমের এই ছোট্ট গ্রাম কাঁদে কার অভিশাপে?
গত ২১শে মার্চ বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় বগটুইয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একে একে দশজনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর গত ১ মে মৃত্যু হয় আতাহার বিবির। তাঁর পরিবার আজ কান্নায় ভেঙে পড়েছে।
মন ভালো নেই মিহিলাল শেখসহ স্বজনহারা পরিবারের লোকেদের। এলাকায় কেউবা পুলিসের ভয়ে পালিয়ে, কেউ সিবিআই হেফাজতে। এদিন বগটুইয়ে বাড়তি উন্মাদনা নেই। স্থানীয়রাই জানালেন, প্রতি বছর এই দিনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। দরগাতলা ভরে থাকত মানুষের সমারোহে। আজ যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা গোটা বগটুই জুড়ে। চোখের জলে ধুয়ে গেল উত্সবের রঙ।