Share this link via
Or copy link
ইতিমধ্যেই জালনোট (Fake note) কারখানার হদিশ মিলেছে খাগড়াগড়ে। কিন্তু তদন্তে জানা গেল, খাগড়াগড়ের (Khagragarh) যে বাড়ি থেকে জাল নোট উদ্ধার হয়েছে, তার মালিক সিরাজুল ইসলাম একজন বিএসএফ অফিসার (BSF officer)। পাশেই তিনতলা বাড়িতে থাকেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই জালনোট কারখানার হদিশ পাওয়ার পর, গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন তাঁরা। ক্যামেরা দেখামাত্রই জানালা-দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন। কিন্তু কেন নিজেদেরকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন বাড়ির মালিক? ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দারা সেই প্রশ্ন তুলে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন।
ভাড়া দেওয়ার সময় সঠিক নথিপত্র যাচাই না করে কীভাবে তিনি ভাড়া দিলেন? যাদের ভাড়া দিচ্ছেন, তারা যে এভাবে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, সেটা না বুঝে কেন ভাড়া দিয়েছেন? দেশের একজন সীমান্তরক্ষী অফিসার কীভাবে দায়িত্ব-জ্ঞানহীন কাজ করলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় বাড়িওয়ালার পরিবারের সদস্যরা নিজেদেরকে আড়াল করার চেষ্টা সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে স্থানীয়দের।
এই ঘটনার পর এলাকার মানুষজন নতুন করে আতঙ্কিত। পূর্ব মাঠপাড়া এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। স্থানীয়রা জানান, রাত নামলেই প্রতিদিন অচেনা মুখ ভিড় করে এলাকায়। কারা আসছেন, কী করতে আসছেন, তার কোনও হদিশ নেই। ফলে আগামীদিনে আরও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা তাঁদের। স্থানীয়দের দাবি, এই পাড়ায় স্থায়ীভাবে বসানো হোক পুলিস পিকেট। নজরদারি চালানো হোক, কারা বাইরে থেকে ঢুকছে সেদিকে। পাশাপাশি
এলাকায় বসানো হোক সিসিটিভি।
প্রসঙ্গত, মুসলিম পরিচয়ে এই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন গোপাল সিং। থাকতেন দুই বয়স্ক, একজন মহিলাও ছিলেন। ওই মহিলার নাম মমতাজ বলে ভুয়ো পরিচয়পত্র দিয়ে ভাড়া নেওয়া হয়। যাকে এলাকায় গোপাল নিজের স্ত্রী পরিচয় দেয়। তবে এই ঘটনার পর, মমতাজ নিজেকে পরিচারিকা বলে দাবি করেছেন। শনিবার জালনোট কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গোপাল সিংকে নিয়ে বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিস।