Share this link via
Or copy link
হাওড়া-বর্ধমান লোকাল (Howrah-Burdwan) ট্রেন নিয়ে বড়সড় ঘোষণা রেলের (Eastern Rail)। হাওড়া শাখার ডিআরএম (Howrah DRM) মণীশ জৈন জানান, 'যে সেতু ভেঙে ফেলা হচ্ছে, সেটা ১৯০১ সালের সেতু। তাই আমাদের ভাঙতে হচ্ছে। নতুন কেবল ব্রিজ ২০১৯ সালে চালু হয়েছে। পুরনো ব্রিজে টোটো, সাইকেল ইত্যাদি উঠছিল। এতে বিপদ বাড়ছিল। এমনকি নতুন কিছু দূরপাল্লার রেক বা কয়লা রেকের মাথা পুরনো ব্রিজের নিচে ঠেকে যাচ্ছিল। আমরা নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'
তিনি দাবি করেন, 'ব্রিজ ভেঙে ফেলার পর প্ল্যাটফর্ম এবং ট্র্যাকের পরিধি বাড়বে। ন্যূনতম যেটুকু না করলেই নয়, বাধ্য হয়ে ট্রেন বাতিল করেছি। বুধবার মধ্যরাতের পর পুরনো সমস্ত গার্ডার একে একে ক্রেন দিয়ে তুলে ফেলা হবে।' মেইন লাইনের ১৭টি ট্রেন, ১৪টি কর্ড লাইনের ট্রেন এবং ৪১টি মেল এবং এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাতিল। রাজধানী-সহ হাতে গোনা গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেন ৩ নম্বর লাইন দিয়ে পাস করবে কিন্তু প্ল্যাটফর্ম পাবে না। এদিন জানান হাওড়া শাখার ডিআরএম।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই রেলকর্তা জানান, '২০১৯-এ এটা প্রথম ভেঙে ফেলার প্ল্যান হয়। সে সময় তিন মাস সময় লাগতো। এবার কিন্তু ২৪ দিনে গোটা কাজ হবে। কিছু শাটল ট্রেন চলবে, যাত্রীদের ক্রমাগত ঘোষণা করতে থাকব।' মেইন লাইনে শক্তিগড়ে ১১ জোড়া, কর্ড লাইনে মশাগ্রাম ১০ জোড়া স্পেশাল শাটল ট্রেন চলবে।
অর্থাৎ ট্রেন বর্ধমান স্টেশন না ছুঁলেও, যতটা সম্ভব কাছাকাছি যাত্রী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা হবে। এদিন রেল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এনজেপি শতাব্দী, পাটনা শতাব্দী, রাঁচি শতাব্দী, শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস-সহ ৪১টি মেইল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত মেইন পাওয়ার ব্লক থাকবে, জানা গিয়েছে পূর্ব রেল সূত্রে। তারপর থেকে ধাপে ধাপে পাওয়ার ব্লক শিথিল করবে রেল। জানা গিয়েছে, কাজ শেষ হতে আনুমানিক ২১ ফেব্রুয়ারি।