Share this link via
Or copy link
প্রতি বছর দোল উৎসবের (Dol Utsav) একসপ্তাহ আগে ব্যস্ত হয়ে পড়েন হাওড়ার (Howrah) উনসানি শিউলিপাড়ায় মট-ফুটকড়াই তৈরির কারিগররা। তবে এ বছর কারিগররা মট তৈরি করলেও সাধারণ মানুষের কেনার চাহিদা আগের মতো আর নেই। দোল উৎসবের আগে মট তৈরির কাজ আজও অপরিহার্য। দোলের আগে বিক্রেতারা গোলাপী, হলুদ, সাদা-সহ রঙবেরঙের মটের পসরা নিয়ে দোকান সাজান। এমনকি দোকানগুলিতে রাখা থাকে ফুটকড়াইও।
গোটা বছর ধরে হাওড়ার বাতাসা তৈরির কারখানাগুলোতে গুড় ও চিনির বাতাসা-সহ নকুল দানা এবং মুড়কি তৈরি হয়। কিন্তু দোলের দু'সপ্তাহ আগে কারিগররা খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েন মট, ফুটকড়াই এবং মুরকি তৈরির কাজে। কারণ দোলযাত্রার দিনে মন্দিরে এবং বাড়িতে রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহকে বাতাসা, মট এবং ফুটকড়াই দিয়ে পুজো করার রীতি বহু পুরনো। আবার পুজোর পর এগুলি ঘরে ঘরে প্রসাদ হিসেবেও বিতরণ করা হয়। বাঙালির নিজস্ব মিষ্টি হিসাবে চাহিদা মেটাতে এই বছরেও একই ছবি দেখা গেল কারখানাগুলিতে।
চিনির গাঢ় রস মিষ্টির ছাঁচে ফেলে কারিগররা তৈরি করছেন রকমারি মট এবং বাতাসা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, আগের থেকে মট এবং ফুটকড়াইয়ের চাহিদা কমেছে। এক বিক্রেতা জানিয়েছেন, কোভিডের আগে বিক্রির পরিমাণ ভালো ছিল। তবে বর্তমানে শুধুমাত্র পুজো দেওয়ার জন্যই কম পরিমাণে মট কিনছেন সাধারণ মানুষ। দোকানদারদের অনুমান, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ার কারণে বিক্রির পরিমাণ কম। তবে সাধারণ মানুষ মট কেনা কমালেও ফুটকড়াইয়ের চাহিদা বেশ ভালোই বজায় রেখেছে। এমনকি দোলের পরেও চলে ফুটকড়াই বিক্রি।