আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল না হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ, সিট-ই এই মামলার তদন্ত করবে। তবে একই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ, সিট চার্জশিট দ্রুত জমা দেবে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, তথ্যপ্রমাণ দেখে মনে হচ্ছে, মামলা ঠিক পথেই এগচ্ছে। তাই সিটই করবে তদন্ত। সিবিআই তদন্তের এই মুহূর্তে প্রয়োজন নেই।
হাওড়ার যুবনেতা আনিস খানের মৃত্যু হয়েছিল নিজের বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে। সেই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। আনিসের বাবা অভিযোগ করেছিলেন, কিছু পুলিস তাঁর বাড়িতে আসে রাতে এবং তাঁর ছেলেকে বাড়ির ছাদ থেকে ধাক্কা মারে। মৃত্যু হয় আনিসের।ঘটনার জেরে পুলিসের তিনজন আদিকারিককে গ্রেফতার করা হয়। তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন করে রাজ্য।
গত কিছু শুনানিতে উঠে এসেছিল বেশ কিছু তথ্য। আনিস কিভাবে পড়েছিলেন? তদন্তে কী উঠে এসেছে? কত তলা থেকে পড়েছেন আনিস? রাজ্য সরকারের আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এদিন জানান, আনিসের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ২৮ ফেব্রুয়ারি জমা পড়ে। শরীরে ধূসর রঙের দাগ ছিল, যা সিমেন্টের ওপর পড়ার জন্য আঘাত। আনিস দ্বিতীয় তল থেকে পড়েছেন বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আনিস পড়েছেন সিমেন্টের মেঝেতে। তার ফলেই মৃত্যু হয়েছে। আমি বলছি না ঝাঁপ। অভিযোগকারী বলছে খুন। কোনও প্রমাণ নেই, প্রত্যক্ষদর্শী নেই।
বিচারপতি জানতে চান, আনিস কি ওই সময় চিৎকার করেছিল? এজি জানান, না। তাছাড়া আনিসের বাড়ির দ্বিতীয় তলা ও ছাদ ওপেন। যে কোনও সময় যে কেউ পড়ে যেতেই পারে। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আপনি কেস ডায়েরি রাখুন, পড়ে দেখুন।
এরপরই হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে তদন্তভার দেয় সিট-কেই।