চাঁদের আলো এবার বাঁধ ভেঙে পৌঁছতে চলেছে আপনার চায়ের কাপে। এ কথা শুনে আপনি হয়ত ভাবছেন, এ আবার কীভাবে সম্ভব। পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলোর নিচে বসে চা খেলে কাপে তো চাঁদের জ্যোৎস্না পড়বেই। তাহলে কি এর কথা বলা হচ্ছে?
রোজ সকালে উঠে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম চা হয়ত আপনার চাই-ই চাই। নাহলে সারাদিন যেন একটা শূণ্যতা বিরাজ করে দেহ ও মনে। চা প্রেমীদের মধ্যে চা নিয়ে অনেকের অনেক রকম ভালোবাসার জায়গা রয়েছে। কিন্তু তা বলে 'মুন লাইট টি' পান করেছেন কখনও? নাম শুনে হকচকিয়ে গেলেও এমন চা-ই আসতে চলেছে বাজারে। সৌজন্যে আলিপুরদুয়ারের একটি চা বাগান।
গত বছরের পরীক্ষামূলক সফলতার পর, চাঁদনি রাতের জোছনা মাখা চা পাতায় তৈরি 'চা', দেশ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চা প্রেমী মানুষের পেয়ালায় পৌঁছে দিতে ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ারে শুরু হল 'মুন লাইট টি প্ল্যাকিং'। দোল পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলোয় চা গাছ থেকে সযত্নে তুলে আনা দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ি দিয়ে তৈরি হয় এই মহার্ঘ চা।
পূর্ণিমার দিন সূর্যাস্তের পর চাঁদের আলোয় চা গাছের পাতায় তৈরি হয় এক বিশেষ সুগন্ধি বা অ্যারোমা। সেই সুগন্ধিকে ধরে রাখতেই এই চা তৈরি করা হয়। যা দিনের বেলা অন্য সাধারণ পাঁচটা দিনে তোলা চা পাতার চেয়ে অনেকটাই আলাদা।
ডুয়ার্সের ওই চা বাগানে শুক্রবার রাতে এই মুন লাইট টি প্ল্যাকিং হয়েছে। চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর জানিয়েছেন, পাহাড়-তরাইয়ের কিছু কিছু চা-বাগানে এমন প্রচেষ্টা করা হলেও, ডুয়ার্সে এই প্রথম ফুল মুন প্লাকিং-এর মাধ্যমে চা তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর পরীক্ষামূলক ভাবে তাঁরা সফলতা পেয়েছেন। এবার তাই পাকাপাকি ভাবে শুরু।
আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য প্রচুর। তবে এই চা পাতা বাইরের বাজারে শুধু বিক্রি হলেও, স্থানীয় বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে চা-বাগান কর্তৃপক্ষের।