Share this link via
Or copy link
এবার ১০২ এর বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ। ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) মেডিক্যাল কলেজের আওতাধীন জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল (hospital)। অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রসূতি মায়েদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১০২ এর অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) পরিষেবার জন্য। রবিবারও সেই ছবি দেখা গেল হাসপাতাল চত্বরে। সদ্যজাত সন্তান কোলে অসহায় অবস্থায় অপেক্ষা করতে দেখা গেল একাধিক প্রসূতি মাকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে।
রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের অভিযোগ, রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের মাদার এণ্ড চাইল্ড হাব (মাতৃমা) থেকে বেলা ১২ টার পর থেকে বেশ কয়েকজন প্রসূতি মায়েদের ছুটি হয়। যাদের বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরে বা শহর সংলগ্ন এলাকায়, এই সমস্ত রোগীদের সময় মত পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু যাদের বাড়ি রাজগঞ্জ, বানারহাট, ধূপগুড়ি এবং অন্যত্র তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে হাসপাতাল চত্বরেই। যার জেরে বেলা বাড়তেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ঘটনায় রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদ্যজাত সন্তান কোলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে হাসপাতাল চত্বরেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কয়েকজন প্রসূতি মা ও পরিবারের লোকজনকে। তাঁরা বারবার রোগী সহায়তা কেন্দ্রে যোগাযোগ করলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, দূরে যেতে হবে বলেই ১০২ অ্যাম্বুলেন্স চালকরা যেতে চান না। পাশাপাশি, অনেক সময় এই সমস্ত রোগীদের পরিজনদের থেকে টাকাও চাওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ১০২ অ্যাম্বুলেন্স এর এক চালক বাসুদেব বর্মণ। তাঁর কথায়, এই হাসপাতালে ১০২ এর মোট ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স আছে। রোটেশন ভিত্তিতে তা যাওয়া-আসা করে। একজনকে পৌঁছে দিয়ে এসে অন্যজনকে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেই তার জন্যই অপেক্ষা করতে হয় রোগীদের।
জানা গিয়েছে, এই হয়রানির জেরে কেউ পকেটের টাকা খরচ করে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছেন। কেউ আবার কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যেও বাড়ি পৌঁছেছেন। কিন্তু জেলা হাসপাতালের এমন দুর্দশায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন একাধিক রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। কবে মিলবে সুরাহা জানা নেই কারও।