ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে খড়্গপুর আইআইটিতে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার ৪ জন। ঘটনার পর তীব্র চাঞ্চল্য রেলশহরে খড়্গপুরে।
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। যাতে উল্লেখ রয়েছে, খড়্গপুর আইআইটির ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতালে নেওয়া হবে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও সিকিউরিটি গার্ড। প্রথম ৬ মাস প্রফেশনাল পিরিয়ড। মাসিক বেতন হিসেবে প্রথমে হাতে পাবে ১৭০০০ টাকা, ৬ মাস পরে মিলবে ২৪ হাজার টাকা। এমন লোভনীয় কাজের ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি বের করে রেল শহরের বেশ কয়েকজন দালাল। ঠিক হয় চাকরির দর। সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি পেতে গেলে লাগবে ৩ লক্ষ টাকা, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পদের জন্য লাগবে ৫ লক্ষ টাকা। দালালদের এমন প্রলোভনেই পা দিয়েই বিপত্তি ঘটে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর।
তবে শুধু তাই নয়, নিয়ম মেনে খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে হয়েছিল ইন্টারভিউও। করা হয়েছিল মেডিক্যাল টেস্ট। সবকিছু পেরিয়ে নিয়োগপ্রার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার। সেই লেটার নিয়ে চাকরিতে যোগদানের জন্য খড়্গপুর শহরে পৌঁছেও গিয়েছিল উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। এই প্রক্রিয়া চলার সময় দালাদের হাতে বেশ কিছু টাকা অ্যাডভান্সও দেয় চাকরিপ্রার্থীরা। কথা ছিল কাজে যোগদানের দিনেই দেওয়া হবে বাকি টাকা। তবে মাঝপথেই বিপত্তি। দালালদের সঙ্গে শেষ মুহূর্তে কথা বলতে গিয়েই ফাঁস হয়ে যায় ভুয়ো নিয়োগের নিখুঁত পরিকল্পনা। ভুয়ো নিয়োগপত্রে থাকা সিগনেচার নিয়ে প্রথমে সন্দেহ হয় চাকরিপ্রার্থীদের। চাকরি করবে না এমন দাবি করে অগ্রিম টাকা ফেরত চায় চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু সেই টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে দালালরা। চাকরিপ্রার্থীদের দেয় হুমকিও। এরপরই এক বন্ধু মারফত খড়্গপুর টাউন থানার দ্বারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীরা।
এরপরই তদন্তে নামে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিস। খড়্গপুর শহরের এক বেসরকারি হোটেল থেকে বিকেলেই আটক করা হয় দশজনকে। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর জালিয়াতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। ধৃতদের বুধবারই তোলা হবে খড়গপুর মহকুমা আদালতে। ঘটনায় বড় কোনও চক্রের যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখে পুলিস।