২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Durgapur: বছর দেড়েক ধরে রাস্তাতেই পড়ে চিপস-বালি, বেহাল রাস্তা আর জলযন্ত্রণা নিত্যদিনের সঙ্গী
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-30 11:13:59   Share:   

কথা ছিল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় পাকা রাস্তা (road) তৈরি হবে, সেই মোতাবেক প্রকল্পের খতিয়ানের বাবদ খরচার হিসেবও দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের শর্ত মানতে চিপস বালিও পড়েছিল। কিন্তু আজ সবটাই স্রেফ কথার কথাতে পরিণত হয়েছে। এমন ঘটনার সাক্ষী রইলেন শহর দূর্গাপুরবাসী (Durgapur)।

দুর্গাপুরের বুদবুদে (Budbud) রয়েছে দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েত, সেই পঞ্চায়েতের অধীন কাঁকোরা গ্রামের দক্ষিণ পাড়া। নয় নয় হাজার তিনেক মানুষ এখানে বসবাস করছেন। মানুষের চলাফেরার জন্য পাকা রাস্তা হওয়ার কথা ছিল এখানে। কিন্তু বছর দেড়েক ধরে উন্নয়নের ফলক পড়লেও আজও পাকা রাস্তা জোটেনি এখানকার মানুষজনদের কপালে। মজার কথা হল এখানে বছর দেড়েক ধরে চিপস বালি পড়ে রয়েছে রাস্তা তৈরির জন্য, কিন্তু দেবশালা সহ আশপাশ গ্রামের রাস্তাঘাট পাকা হয়ে গেলেও এই দক্ষিণ পাড়ার মানুষের জন্য আজও পাকা রাস্তা হয়নি। ফলে মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রায় ৪১ লক্ষ টাকার কিছু বেশী টাকা এসে পৌঁছে ছিল তৃণমূল পরিচালিত দেবশালা পঞ্চায়েতে। রাজ্য সরকারের লাগানো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকার ছিটে ফোঁটাও এই দক্ষিণ পাড়াতে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। আর এতে করে এক যন্ত্রণাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখানকার হাজার তিনেক মানুষের কাছে। উন্নয়নের ফলক আজ আগাছাতে মুখ ঢেকেছে। শুধু কাঁকোরা গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকা নয়, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে যে পাকা রাস্তা দেবশালা অঞ্চলে তৈরি হয়েছে, বছর দুয়েক কাটতে কাটতে না কাটতে সেই রাস্তাও বেহাল হয়ে পড়েছে। পাকা রাস্তার ওপর দিয়ে বেড়িয়ে আসছে মাটি।

অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে। আর যার জেরে বছর ঘুরতে না ঘুরতে পাকা রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা বেড়িয়ে পড়ছে। এ তো গেলো রাস্তার কথা। আর্থ সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া বুদবুদের কাঁকোড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়াতে কল বসানো হয়েছিল সরকারি উদ্যোগে। কিন্তু ঢাক ঢোল পিটিয়ে সেই সরকারি কর্মযোগ্য আজ বিষ বাও জলে। কল আছে ঠিকই, কিন্তু জল পড়ে না। যে জলকষ্ট এখানকার মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে বসে রয়েছে।

স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের সময় তৃণমূল নেতারা আসে, আর ভোট ভিক্ষে চায় মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। আর ভোট মিটলেই দেখা যায় নেতাদের ঘরবাড়ি, সরকারি সুযোগ সুবিধে সব পূরণ হয়েছে। কিন্তু তাঁদের আর কোনও পরিবর্তন হয়না। গ্রামবাসীদের হুশিয়ারী, আর নয়, এবার তাঁদের ইচ্ছে পূরণ না হলে সামনের পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করবেন তাঁরা। কারণ এইভাবে আর চলতে পারে না। একযোগে ভোট বয়কটের গ্রামবাসীদের এই সিদ্ধান্তে এখন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। 


Follow us on :