দক্ষিণ কর্ণাটকে এ রাজ্যের ৫ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু। প্রত্যেকের বাড়ি দেগঙ্গায়। কর্ণাটকের
মেঙ্গালুরুর দক্ষিণ কন্নাড়া জেলার ভাজপে থানার অন্তর্গত এলাকায় দিনমজুরের কাজ করতে যান এই পাঁচ যুবক। একটি মাছ বিক্রয়কারী সংস্থায় প্যাকেজিং-এর কাজ করতেন এঁরা। গতকাল বিকালে সেই মাছের কোম্পানির একটি চেম্বারে পর পর ৭ জন শ্রমিক নামেন। মাছের চেম্বার বা ম্যানহোলের ভিতরে বিষাক্ত গ্যাস বের হয়। এক বন্ধু নামার পরে আরেক বন্ধুর উপরে উঠছে না দেখে তিনিও নিচে নেমে যান। এভাবে পাঁচ বন্ধু চেম্বারে নামেন। প্রত্যেকেরই গ্যাসে মৃত্যু হয়। খবর পৌঁছতেই যুবকদের পরিবারে শোকের ছায়া, শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।
সেই চেম্বার থেকে কর্তৃপক্ষ এক এক করে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৮ মাস আগে দেগঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩০-৩৫ জনের একটি দল যায় মেঙ্গালুরুতে। মৃতরা হলেন ওমর ফারুক (৩১), সামিউল ইসলাম(১৭) নুর নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাজিলপুরের বাসিন্দা, নিজামুদ্দিন সাহাজি আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুরের বাসিন্দা, সরাফাতা আলি ও মিরাজুল ইসলাম দেগঙ্গা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দোগাছিয়ার বাসিন্দা।
মৃতের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ। পাশাপাশি রবিবার রাতেই প্লেনে করে নিহত যুবকদের পরিবারের লোকজন মেঙ্গালুরুর দক্ষিণ কন্নড়া এলাকায় দেহ আনার জন্য রওনা দেন।