Share this link via
Or copy link
কাজের ব্যস্ত সময়ে বোলপুরের (Bolpur) এক প্রাইভেট ব্যাঙ্কে (Fire in Bank) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য। হঠাৎই ওই ব্যাঙ্কে বুধবার সকালে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, বিকেল পর্যন্ত সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ দমকল (Fire Brigade)। ঠিক কী কারণে এই আগুন? খতিয়ে দেখবে দমকল এবং পুলিস। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রহস্য দেখছেন স্থানীয়রা। কারণ গরু পাচার (Cow Smuggling)-কাণ্ডে অনুব্রত গ্রেফতারের পর এই ব্যাঙ্ক সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে রয়েছে।
সিবিআই তদন্তকারীরা একাধিকবার এই ব্যাঙ্কে এসে নথি তল্লাশি করে গিয়েছে। তাই তদন্তাধীন একটি সংস্থায় এভাবে আগুন লাগায়, প্রশ্ন উঠছে স্থানীয়দের মনে। এক স্থানীয়ের মন্তব্য, '২৫ বছর ধরে তিনি ওই এলাকায় রয়েছেন। কিন্তু এমন অগ্নিকাণ্ড দেখেননি। দমকল মাত্র দু'মিনিট দূরে তারপরেও এত দাউদাউ করে আগুন। অথচ কোনও প্রাণহানি হল না শুধু নথি পুড়লো।'
আরও এক স্থানীয়দের মন্তব্য, 'আগুন লাগার পর যেভাবে ব্যাঙ্ক কর্মী ও অন্যরা বাইরে বেড়িয়ে আসেন, তাতে কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না। ভিতর আগুন লেগেছে তাঁদের দেখে মনে হয়নি। এতেই মনে সন্দেহ জাগছে।' ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বলেন, 'প্রথম ধোঁয়া দেখেই আমরা গ্রাহক ও কর্মীদের বের করে আনি। প্রথম লক্ষ্য ছিল প্রাণ বাঁচানো। তারপর দমকলকে ডাকি। এটুকু সময়ের মধ্যেই আগুনের গ্রাস বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত জানি না ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা।'
কী কারণে আগুন লাগল তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। তবে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর ব্যাংকিং বিভিন্ন তথ্য জানতে একাধিকবার এই ব্যাংকে যেতে দেখা যায় সিবিআই আধিকারিকদের। এর পাশাপাশি অ্যাক্সিস ব্যাংকের আধিকারিকদের থেকেও একাধিকবার নানান তথ্য চেয়ে পাঠান সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই আধিকারিকরা যখন এই ব্যাংকের নথিপত্র নিয়ে তদারকি শুরু করেছেন সেই সময় এইভাবে আগুন লাগার ঘটনা নানান প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।