Share this link via
Or copy link
ফের গভীর রাতে হাতির (elephant) তাণ্ডব। তাণ্ডবে মৃত (death) দম্পতি। আহত একই পরিবারের আরও তিনজন। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার চারটি বাড়ি। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটা ব্লকের, কলাবাড়ি চা বাগান গারা লাইনের। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ ওই এলাকা সংলগ্ন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গারা লাইনে শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে পড়ে একটি বুনো হাতি। পরপর চারটি বাড়ি ভাঙচুর করে। তিনটি বাড়ির সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচালেও, বাঁচতে পারেনি মাঝি পরিবার। শীতের গভীর রাতে পরিবারের সকলেই ঘুমিয়ে ছিলেন। বুনো হাতিটি ঘর ভেঙে ঘুমন্ত অবস্থাতেই শুড় দিয়ে টেনে হিচড়ে বছর ৬৫-র বাবুরাম মাঝি ও তাঁর স্ত্রী বছর ৬০ এর বাহামুনি মাঝিকে বাইরে নিয়ে এসে পিষে মারে। বুনোর হামলায় আহত ওই দম্পতির মেয়ে বছর ২৮-র আশা মাঝি ও নাতি শিবরাজ মাঝি।
অন্যদিকে, উত্তরের চা বাগানে হাতির হামলায় যখন মৃত দুই, তখন দক্ষিণের ঝাড়গ্রামে হাতির হামলায় আহত আরও এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিমি দূরে অবস্থিত ঝাড়গ্রাম জেলার ডিএফও অফিস। এত কাছেই হাতির তাণ্ডব, অথচ বন দফতরের কোনও হেলদোল না থাকার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর।
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের খানাকুলের বাসিন্দা চাঁদু দলই বুধবার সকালবেলা রোজকার মতো কাজে বের হয়ে হাতির সামনে পড়ে যান। হাতি যে শহরের এত কাছে তার কোনও খোঁজই ছিল না বন দফতরের কাছে। ফলে কোনও সতর্কবার্তাও ছিল না। কোনওমতে হাতির সামনে থেকে পালাতে পারলে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন চাঁদু বাবু। গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ২০টি হাতি রয়েছে সেখানে। এডিএফও বলরাম পাঁজা সহ হুলা পার্টি হাতিগুলিকে শহর থেকে দূরে সরাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসী।