Share this link via
Or copy link
গত দু-তিন দিন ধরেই আবর্জনার (Garbage) স্তূপে জ্বলছে আগুন। এর পাশেই বসতি। ঘটনায় অসুস্থ এলাকার একাধিক মানুষ, বাদ যায়নি শিশুরাও (child)। ইতিমধ্যেই তিনজন শিশু হাসপাতাস (hospital) চিকিৎসাধীন। আতঙ্কের (panic) মধ্যে রয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বর পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের। অভিযোগ, একাধিকবার স্থানীয়দের অসুবিধার কথা জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।
স্থানীয়রা জানান, দু-তিন দিন আগে থেকে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন দেখা যায়। ধীরে ধীরে সেই আগুন বাড়তে থাকে। আগুন লাগার ফলে এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়। অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে। বেশ কয়েকজনকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে আগুনের তীব্রতা দেখা দিলে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসে তারকেশ্বর থানার পুলিস ও দমকল। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। বুধবার সকালেও ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড চিহ্নিত করে পুরসভার সমস্ত আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
স্থানীয়দের বলায় পুরভোটের আগে এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। এর আগেও এই বিশালাকার আবর্জনার স্তূপে দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছিল। তবুও হুঁশ নেই। এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কারণে পুরসভার ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডের মানুষ দুর্ভোগের শিকার। ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরিয়ে ফেলার জন্য পুরসভায় বারবার জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুরসভা, অভিযোগ স্থানীয়দের।
মঙ্গলবার আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুর চেয়ারম্যান উত্তম কুণ্ডু। তিনিও এলাকার মানুষের অসুবিধার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি জানান, এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে। অন্যত্র জমি দেখার কাজ চলছে। জমি পাওয়া গেলেই এই জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হবে।