বগটুই কাণ্ডে (bogtui case) অভিযুক্ত রিটন শেখের বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে এবার তোলপাড়। কেটেছে প্রায় ১ মাস। এখনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কিনারা করতে পারেনি সিবিআই (CBI)। রবিবার বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে ধৃত টোটোচালক রিটন শেখকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় রামপুরহাট মহকুমা আদালত (Rampurhat sub-division court))। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৩ ই এপ্রিল বগটুই গ্রাম থেকে রিটন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর ১৪ এপ্রিল আদালতের নির্দেশে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে ছিল রিটন। আজ সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় অভিযুক্তকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযুক্তকে ফের ২৯ এপ্রিল আদালতে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এরপরই আদালত থেকে বেরিয়ে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য রিটনের। "ডলার পেট্রল আনতে বলেছিল সেদিন"- অভিযোগ করলেন রিটন শেখ। এই ডলারই লালন শেখের ভাগ্নে বলে জানা যায়।
পাশাপাশি আজই রামপুরহাটে অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে আসেন দমকলের অফিসার সহ বেশ কয়েকজন কর্মী। তাঁদের ঘণ্টাখানেক ধরে জিজ্ঞাসা বাদ করে সিবিআই।
উল্লেখ্য, বগটুই গ্রামে দুটি টোটোর সন্ধান মিলেছিল। গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পেরেছিল, এই দুটি টোটো করেই সেই অভিশপ্ত রাতে পেট্রল আনা হয়েছিল গ্রামে বাড়িতে আগুন লাগানোর জন্য। এরপর সেই টোটো দুটি পরীক্ষার জন্য কলকাতা থেকে আসে ফরেনসিক টিম। টিমের আধিকারিকরা টোটো দুটি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেন। জানা যায়, ২২ মার্চ রাণা শেখের মা কয়েকজনকে নিয়ে এখানে এসে টোটো দুটি রেখে চলে যান। হলুদ রংয়ের টোটোটি চালাতেন রাণা শেখ যাত্রী পরিবহণের কাজে। অন্য টোটোটি তাঁর বাবার বলে জানা গিয়েছে। তাতে তিনি ফল আনা-নেওয়ার কাজ করতেন।