বিবাহবিচ্ছিন্না মা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাগে নাবালিকা মেয়েকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। বাঁকুড়ার জয়পুর থানার পুলিস গ্রেফতার করল এক যুবককে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ধর্ষণেই শেষ নয়, ধর্ষণের পর সম্প্রতি যুবক নির্যাতিতাকে দেহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে ফের একটি লজে নিয়ে যেতে চাইলে রুখে দাঁড়ান তার মা। এরপরই জয়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে বরকত আলি খাঁ নামের অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতকে সোমবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিস। ধৃতের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গেছে, বছর ১৫ আগে জয়পুর থানা এলাকার এক মহিলার বিয়ে হয় পুনিশোল এলাকায়। এক বছর পর তাঁদের একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বছর দশেক আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নিজের মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন মহিলা। অভিযোগ, এরপরই ওই মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন পার্শ্ববর্তী হাতবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বরকত আলি খাঁ নামের এক যুবক। মহিলা বিয়েতে অসম্মত হলে ওই যুবক মহিলার বাপের বাড়ির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে বাড়িতে আসাযাওয়া শুরু করে। গত বছর ২৩ ডিসেম্বর বিষ্ণুপুরে কৃষি মেলা দেখানোর নাম করে বরকত মা ও মেয়েকে বাইকে চাপিয়ে বিষ্ণুপুরে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে সেখান থেকে ফেরার পথে শালতোড়ার জঙ্গলে মাকে কাপড় দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে বরকত মহিলার নাবালিকা মেয়েকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এমনকী থানায় অভিযোগ জানালে নাবালিকাকে ধর্ষণের ছবি সোশ্যাল সাইটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ওই অভিযুক্ত যুবক। ভয়ে নির্যাতিতা সে সময় আর অভিযোগ জানাতে পারেননি।
গত ৩০ জুলাই ফের বরকত নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে নাবালিকা কিশোরীকে অসৎ উদ্দেশ্যে কামারপুকুরের একটি লজে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নির্যাতিতার মা রুখে দাঁড়ান। এরপরই নির্যাতিতার মা জয়পুর থানার দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ জানালে পুলিস গতকাল রাতে হাতবাড়ি গ্রাম থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। ঘটনায় অভিযুক্তর ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা ও তার পরিবার।