সিঙ্গুর আন্দোলন। এই আন্দোলনের ইতিবৃত্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পড়ুয়াদের পাঠ্যবইতে। আর সেই আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরতে আন্দোলনের মধ্যমণি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম যেমন তুলে ধরা হয়েছে, তেমনই তুলে ধরা হয়েছে তৎকালীন বিরোধী দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামও। যিনি রাজ্যে পালাবদলের পর শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন দীর্ঘ সময়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি এখন ইডি হেফাজতে। বিরোধীদের দাবি, দ্রুত এই নামটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, সিঙ্গুর আন্দোলনের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যবইয়ে। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামই নয়, রয়েছে আরও একাধিক নাম। বিরোধীদের দাবি, দ্রুত এসব নাম ইতিহাসের পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া উচিত। শুধু নাম নয়, বাদ দেওয়া উচিত সমগ্র অধ্যায়টি। বিরোধীদের আরও দাবি, নাম বা অধ্যায় বাদ না দেওয়া হলে তাঁর গ্রেফতারের বিষয়টিও তুলে ধরা উচিত পাঠ্যবইতে। অন্যথায় পাঠ্যবইয়ে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামকে কেন্দ্র করে পড়ুয়াদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন,
পার্থকাণ্ডে একই সুর শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের গলায়। তাঁর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতিও ইতিহাস বইতে লেখা হোক।
অন্যদিকে, অবিলম্বে সিঙ্গুর আন্দোলনের অধ্যায় পড়ানো বন্ধ হোক। রবিবার এই দাবি জানিয়ে টুইট করেছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। সোমবার একই দাবিতে পঃ মেদিনীপুরে সুর চড়ালেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনকে ঐতিহাসিক বলে বাচ্চাদের মনে রাজনৈতিক বিষ ঢোকানোর চেষ্টা হয়েছে ।
দীর্ঘ টালবাহানার পর মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন এককালের শাসকদলের দাপুটে নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হুইলচেয়ারে বসে বুকে হাত দিয়ে নিজের কষ্ট বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু আর কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চাইছেন কেউ? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।