ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন স্বামীকে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে দেগঙ্গা থানার চ্যাংদানা গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম শেখ আলম, বয়স ৩৭। গোটা ঘটনার তদন্তে দেগঙ্গা থানার পুলিস। খুনের ঘটনা স্বীকারও করে নিয়েছেন মৃত যুবকের স্ত্রী মুসকান বিবি। পুলিস মৃত যুবকের স্ত্রী এবং অপর এক যুবক শেখ নাজমুলকে আটক করেছে। মুগুড়ের আঘাতে মৃত্যু হয় শেখ আলমের, এমনটাই জানা গেছে।
পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। শেখ আলমের পাখির ব্যবসা ছিল। তাঁর সহযোগী ছিল ধৃত নাজমুল। এই এলাকায় কয়েকমাস হল আলমরা ভাড়ায় এসেছেন। শনিবার রাতে ঘটনার সময় তাঁদের ছেলে ও মেয়ে বাড়িতে ছিল না। শেখ আলমের অন্যত্র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পারেন মুসকান বিবি। এ নিয়ে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত তাঁদের মধ্যে।
এদিন স্বামী শেখ আলম মুসকান বিবিকে মুগুর দিয়ে মারতে আসেন। মুসকান মুগুর কেড়ে নিয়ে আঘাত করেন স্বামীকে। এরপর স্বামীকে মৃত ভেবে স্থানীয় লেবুতলা স্টেশনে চলে যান স্ত্রী। পরে তাঁদের বাড়িতে থাকা নাজমুল ফোন করে জানায়, বেঁচে আছে আলম। এবং তাঁকে ফিরে আসতে বলে। এসে দেখে স্বামী মৃত। এমনটাই জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা কেতাবউদ্দিন মণ্ডল।
মৃতের ছেলে ইবরাজ জানায়, ঘটনার সময় সে বাড়িতে ছিল না। তার মা তাকে ফোন করে বাড়ি চলে আসতে বলে। তার দাবি, বাবা ও মায়ের মধ্যে কোনো ঝগড়া হত না। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সে কিছুই জানে না।
ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। খুনের ঘটনায় ধৃত যুবকের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।