ঝড় আসলেই প্রহর গুনতে শুরু করেন সুন্দরবনবাসী। জলে কুমির, ডাঙায় বাঘের আতঙ্ক নিয়ে কোনওক্রমে জীবন কেটে যায়। তার উপর মাঝে মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ভিটে-মাটি ছাড়তে হয় বহু মানুষকে। বাড়ি-ঘর সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়ে করুণ অবস্থা হয়ে যায়। জলের তোড়ে ভেসে যায় গ্রামের পর গ্রাম। বাঁধগুলির অবস্থা নিয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়ে আসছেন সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।
ফের আতঙ্কে প্রহর গুনছেন সুন্দরবনবাসী। প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার একাধিক দুর্বল নদীবাঁধ দিয়ে পূর্ণিমার ভরা কোটালে হু হু করে গ্রামের মধ্যে ঢুকছে নোনা জল। সকালবেলায় গঙ্গাসাগরের চক ফুলডুবি নদীবাঁধের একাংশে ফাটল ধরে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষজন। বিভিন্ন বাঁধের কয়েকটা প্রান্ত ভেঙে যাওয়ায় ক্রমশই আতঙ্কের মেঘটা আরও চওড়া হচ্ছে।
এই খবর পেয়ে নদীবাঁধ পরিদর্শনে আসেন সাগর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল সামির-সহ মুড়িগঙ্গা দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোবিন্দ মন্ডল। তিনি জানান, দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একাধিক ঘূর্ণিঝড় আমফান, বুলবুলের ফলে ক্ষতি হয়েছে নদী বাঁধগুলির। সেই নদীবাঁধই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ সুন্দরবনবাসীর কাছে। সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা-সহ একাধিক এলাকায় দুর্বল নদীবাঁধ থেকে গ্রামের পুকুরে ঢুকছে জল। পাশাপাশি হুগলি নদী ও পূর্ণিমার ভরা কোটালে প্লাবিত কেল্লার মাঠ। এখন জলমগ্ন হয়ে পড়েছে গোটা কেল্লার মাঠ চত্বর। আর তাতেই এখন অনেক মানুষই ভিড় জমাচ্ছেন শহরের বুকে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তৎপরতায় ঘুরে দেখা হচ্ছে দুর্বল নদীপথগুলি। যাতে কোনওভাবে বিপদের সম্মুখীন হতে না হয় সাধারণ মানুষকে, তাই সদা সতর্ক রয়েছে প্রশাসন।