শান্তিনিকেতনে জাল নোটের হদিশ। বুধবার সন্ধ্যাবেলায় সিআইডির একটি প্রতিনিধি দল এসে জাল ১০০ টাকার নোট, প্রিন্টার মেশিন ও বেশকিছু পেপার উদ্ধার করে। যদিও এখনও দোকান মালিক প্রদীপ খাঁ পলাতক। তদন্তে নেমেছে পুলিস।
বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত শ্যামবাটী বাজার। যা খুবই জনবহুল একটি জায়গা। সন্ধ্যা গড়ালেই এখানে সমাগম হয় পড়ুয়া থেকে স্থানীয়দের। আর এই এলাকাতেই এই ধরণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শ্যামবাটী বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার ধারে থাকা একটি জেরক্স দোকান থেকে কালার প্রিন্টার এবং নগদ বেশ কিছু জাল নোট উদ্ধার করে সিআইডি, এমনই দাবি করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জেরক্স দোকানটির মালিক প্রদীপ খাঁ। দোকানটি দীর্ঘ ৬ মাস ধরে লটারির দোকান হিসেবে পরিচিত। সপ্তাহখানেক আগেই এই দোকানে আসে কালার প্রিন্টার ও জেরক্স মেশিন। তবে হঠাৎ বুধবার বিকালবেলা সিআইডির কিছু আধিকারিক এসে ওই দোকান থেকে ওই জেরক্স মেশিন এবং কিছু নগদ জাল টাকা উদ্ধার করে। ঘটনার পরেই ওই দোকানে তালা লাগিয়ে দেন সিআইডি আধিকারিকরা।
এই দোকানের পাশেই অবস্থিত একটি মুদিখানা দোকানের মালিক জানান, সন্ধ্যায় তিনি এসে দেখেন, সিআইডির ৫ থেকে ৬ জনের একটি টিম ওই দোকানটি খোলে। এরপরই উদ্ধার হয় ১০০ টাকার জাল নোট। তবে সিআইডি আধিকারিকরা ফের তদন্ত করতে আসবেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে এই দোকানের পাশেই পড়ে রয়েছে আগুনে পোড়ানো কিছু কাগজপত্র এবং ১০০ টাকার নোট। তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
জানা যায়, বুধবার রাতেই পুলিস প্রদীপ খাঁয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়। সেখানে তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে কবে থেকে এই জাল নোট ছাপার কাজ শুরু হয়েছিল, সেই তদন্ত করছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিস। যদিও এই ঘটনার পর গোটা শ্যামবাটী বাজার এলাকায় খুব স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
তবে এই ঘটনার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। এই কাণ্ডে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ব্যক্তি একজন তৃণমূল কর্মী বলে জানা যায়। তার ফেসবুক জুড়ে রয়েছে শাসকদলের বিভিন্ন প্রচার। বিজেপির পক্ষ থেকে ঘটনার নিন্দার সঙ্গেই তদন্তের দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূলের বক্তব্য, এখন যে কেউই বলবে তৃণমূলের সমর্থক। তবে অন্যায় কাজ করলে তার শাস্তি দেবে প্রশাসন। দল কোনও ব্যবস্থা নেবে না।
তবে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিস।