অব্য়াহত মাটি মাফিয়া রাজ। প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হরিণঘাটায় রমরমিয়ে চলছে বেআইনিভাবে মাটি চুরি। নদিয়া জেলার হরিণঘাটা বিধানসভার অন্তর্গত হরিণঘাটা ব্লক জুড়ে রমরমিয়ে চলছে মাটি চুরি। রাতের অন্ধকারে তো বটেই দিনের আলোতেও নদিয়ার হরিণঘাটা ব্লকের নগরউখড়া, থেকে শুরু করে দত্তপাড়া, ফতেপুর,মল্লাবেলিয়া সহ প্রায় সমগ্র ব্লক জুড়ে শয়ে শয়ে মাটি ভর্তি ট্রাক্টর ছুটছে দেদার গতিতে। ভোরের আলো ফোটার আগেই জেসিবির শব্দে জেগে ওঠে আশপাশের মানুষ। কুড়ুম বেরিয়ি ও বামুন বেরিয়া এলাকাবাসীদের অভিযোগ প্রত্যেকদিন আড়াই থেকে তিনশ গাড়ি মাটি চুরি যাচ্ছে এই এলাকা থেকে। অভিযোগ, হুঁশ নেই প্রশাসনের। নদিয়ার হরিণঘাটার নদীর পাড় যেন প্রকৃত অর্থেই মাটি মাফিযাদের দখলে। একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়ে মেলেনি কোনও সুরাহা। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারাই এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় কোনও পদক্ষেপ করছে না প্রশাসনিক আধিকারিকরা, এমন দাবিতে সরব এলাকাবাসীরা। পাশাপাশি চাষের জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা।
তবে এই ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন হরিণঘাটা ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ মজুমদার। মাটির কাটার সরকারি পদ্ধতি মেনে অনেকেই বিএলআরও-কে রয়্য়ালটি দিয়ে মাটি কাটছে। তবে যারা রয়্য়ালটি ছাড়া যাঁরা মাটি কাটছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে হরিণঘাটার বিএলআরও সুদীপ সরকার জানান, অভিযোগ পেলে সেই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এমনকী, জরিমানাও করা হয়।
অন্যদিকে হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি গৌতম কীর্তনীয়া হরিণঘাটায় মাটি চুরি চলছে শুনেছেন বলে জানান। তবে মাটিচুরির পিছনে শাসকদলের নেতাদের মদত রয়েছে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ তিনি অস্বীকার করেন।
হরিণঘাটা ব্লকের ১৭০বর্গ কিলোমিটার এলাকায় এ ধরনের সমস্যা রয়েছে। এলাকাবাসী এবিষয়ে অভিযোগও জানিয়েছে বারবার। তবু হেলদোল নেই প্রশাসনের এমনই দাবি তাদের। এখন বেআইনিভাবে মাটি চুরি রুখতে প্রশাসন কি ব্য়বস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার।