একের পর এক ঘটনায় রাজ্যবাসী স্তম্ভিত। বিচ্ছিন্ন ঘটনাই কি তবে নিয়ম হয়ে দাঁড়াচ্ছে? প্রতিদিনই সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে নানা নারকীয় ঘটনার কথা। যা সভ্য সমাজে না হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় নয় কি? এত নিষ্ঠুর, এত নৃশংস কোনও মানুষ হতে পারে? পারে বোধহয়। তাই বহরমপুরের মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু কেন? সমাজবিদ, মনোবিদরা এর কারণ বিশ্লেষণ করবেন। কিন্তু আতঙ্কগ্রস্ত সাধারণ মানুষ কী করবেন? তাদের দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই। কারণ আততায়ীর হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র ও বন্দুক। যদিও পুলিস সূত্রে জানা গেছে, ওটা নাকি খেলনা বন্দুক ছিল।
এখানে সুতপা ও সুশান্ত দুটি চরিত্র। পুলিস ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সুতপা ওই সম্পর্ক থেকে সরে আসায় প্রতিশোধ নিতেই তাঁকে খুন করেছে সুশান্ত। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছে সুশান্ত সেকথা। কিন্তু প্রতিশোধস্পৃহা কোন জায়গায় পৌঁছলে ভালোবাসার মানুষকে এমন নৃশংসভাবে কেউ হত্যা করতে পারে, তা ভেবে শিহরিত হচ্ছে নাগরিক সমাজ।
গতকাল মেয়েটিকে মেস থেকে বাইরে ডাকে হত্যাকারী। বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখানো হয় ও পরে চাকু দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে তাঁকে কোপাতে থাকে সে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন সুতপা। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখে ফেললে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং এলাকা থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
আর কোনও বিকল্প কি থাকে না, তাও ভাবাচ্ছে নাগরিক সমাজকে। ভর সন্ধ্যায় একেবারে জনবহুল রাস্তায় এ ধরণের ঘটনা ঘটানোর সাহস আসছে কোন্ মানসিক অবস্থান থেকে, তা নিয়ে ভাববেন মনোবিদরা। সাধারণ মানুষ শুধু দেখল, আবার একটা মায়ের কোল খালি হল। অকালে ঝরে গেল একটা ভবিষ্যত্। যখন একই চাঁদ দেখে খুশির ইদ উদযাপন হয়, আর সেই একই তৃতীয়ার চাঁদে শুভ অক্ষয় তৃতীয়া পালিত হয়। সেই সময়ই কারোর ঘরের প্রদীপ নিভে যায়। সহিষ্ণুতা কি শূন্যে এসে পৌঁছেছে? কেন এতো সামাজিক অবক্ষয়? কোন্ পথে এগোচ্ছে সমাজ? এই জিঘাংসার কোথায় শেষ? কে দেবে উত্তর?