পানীয় জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি। পরে ইঁটবৃষ্টি এবং ব্যাপক বোমাবাজি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গেলে আক্রান্ত হন পুলিসকর্মীও। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস এবং লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একাধিক তাজা বোমা। আটক কমপক্ষে ২০ জন। মূলত, তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টেংরিডাঙ্গা মেদিয়াপাড়া এলাকার।
জানা যায়, শনিবার সকালে টাইমকলের জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে মহিলাদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরবর্তীকালে সেই বচসা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। এরপরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। মুড়ি-মুড়কির মতো দুই পক্ষের তরফ থেকে বোমাবাজি চলতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রানাঘাট মহাকুমার এসডিপিও। বোমাবাজি এবং ইঁটবৃষ্টির জেরে আহত হন চারজন পুলিসকর্মী। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। এরপরই ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে পুলিসের তরফ থেকে শুরু হয় লাঠিচার্জ এবং ধরপাকড়। ঘটনায় দুপক্ষের ২০ জনকে ইতিমধ্যে আটক করেছে পুলিস। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় বহু তাজা বোমা। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় বিশাল পুলিসবাহিনী টহলদারি করছে।
পাশাপাশি পুলিসের তরফ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ওটা এলাকাজুড়ে। কী কারণে এই ঘটনা এবং এই বোমাবাজির পিছনে কারা জড়িত, খতিয়ে দেখছে পুলিস।