Share this link via
Or copy link
মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে কাজ করেও কাজের মজুরি না পেয়ে ক্ষোভ এলাকার একাংশদের মধ্যে। প্রসঙ্গত, বীরভূমের (Birbhum) মুরারই ১ নম্বর ব্লকের রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের ঢুরিয়া গ্রামে প্রায় তিন বছর আগে কয়েক বিঘা জমিতে রাজ্য সরকারের মাটির সৃষ্টি প্রকল্প তৈরি হয়। এখানে কয়েক ধরনের ফলের গাছ (tree) আছে, কিন্তু এখনও কোনও ফলের দেখা মেলেনি। পাশাপাশি, তিনটি মুরগি পল্টি ফার্ম তৈরি হলেও এখনও কোনও মুরগির দেখা নেই। এই প্রকল্পের উদ্দ্যেশ্য, এলাকার গরীব মানুষদের কর্মসংস্থান। কিন্তু অভিযোগ, কাজ হলেও মজুরির দেখাই মেলেনি।
আরও অভিযোগ, এখানে বিভিন্ন জাতের ফলের চাষ করে সাধারন মানুষ উপকৃত হবে। কিন্তু প্রায় তিন বছর ধরে সেই প্রকল্পের কোনও সুফল পাচ্ছে না। স্থানীয়দের একাংশর অভিযোগ, এই প্রকল্পে কাজ করে এখনও তাঁর মজুরিই পাননি। যদিও জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য আসগার আলী জানান, এই প্রকল্প সাফল্য হয়েছে। মানুষ উপকৃতও হবেন। জলের অভাবে গাছ যতটা হাওয়ার ততটা হয়নি, এখন সুফল না পেলেও আগামীদিনে সুফল পাবেন বলেই জানান এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ গাউস আলী।
এদিকে, স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী অজয় কুমার সাহা জানান, এমজিএনআরজি প্রকল্পে টাকা না ঢোকার জন্য যারা কাজ করেছেন, তাঁরা মজুরি পাননি। টাকার জন্য এই প্রকল্প কিছুটা পিছিয়ে আছে। তবে এই প্রকল্প নিয়ে শাসক দলের মধ্যে ভিন্ন সুর শোনা গেলেও অভিযোগের সুর সাধারণদের মধ্যে।
তবে পরিকাঠামো ছাড়াই এই প্রকল্প বাস্তবে সাধারণ মানুষদের জন্য কতটা উপকার করবে, সেটাই এখন দেখার।