Share this link via
Or copy link
বেশ কয়েকমাস ধরেই স্কুলে মিড ডে মিল (Mid day meal) চলছে না, অথচ সরকারি পোর্টালে দিব্যি আপলোড হচ্ছে, মিড ডে মিল চালু রয়েছে। দুই শিক্ষিকার ব্যক্তিগত উদ্যোগে খুদে পড়ুয়াদের (student) কপালে দুপুরের খাবার জোটে। কিন্তু সেটাও প্রতিদিন নয়, এমনটাই অভিযোগ অভিভাবকদের। খিদের জ্বালার ভয়ে এখন অভাবি পরিবারের খুদে পড়ুয়ারা স্কুলমুখী হতে ভয় পাচ্ছে। কেউ কেউ আবার তো স্কুলেই (school) আসছে না। এমন এক কাণ্ডে তোলপাড় শহর দুর্গাপুর (Durgapur)।
দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। আনন্দপুর গ্রামের এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে নয় নয় করে ষাট জন খুদে পড়ুয়া রয়েছে। যাদের বাবা-মা হয় অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে, নচেৎ কেউ রাজমিস্ত্রির হেল্পার অথবা ভ্যান চালিয়ে সংসারে দু বেলা দু মুটো অন্নের সংস্থান করেন। আজ তাঁদের সন্তানদের স্কুলে গিয়ে দুই শিক্ষিকার দয়াতে দুপুরের খাবার জোটে। সেটাও আবার অনিয়মিত, দিদিমনিরা সামান্য মাইনে থেকে যেটুকু পারেন, সেইটুকু হয়। তাই প্রতিদিন সেই খাবার জোটানো সম্ভব হয়ে ওঠে না।
সিবিআই তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ফল খাওয়ার খরচ ছিল হাজার হাজার টাকা, আর সেখানে দুর্গাপুরের এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের খুদে পড়ুয়ারা খিদের জ্বালার ভয়ে এখন আর স্কুলমুখী হতে চাইছে না। বেশ কয়েকবার আবেদন নিবেদন করা হয়েছে সরকারিস্তরে, কিন্তু কাজ হয়নি। আর এতে এখন ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিবাবকরা। এইভাবে স্কুল না চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হোক, দাবি পড়ুয়াদের অভিভাবকদের।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা দফতরের আধিকারিক সংঘমিত্রা দাসগুপ্ত জানান, সশরীরে তাঁকে গিয়ে তদন্ত করতে হবে। কারণ সরকারি পোর্টালে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে বলে আপলোড করা রয়েছে। প্রশ্ন, তাহলে কি সমন্বয় আর নজরদারির অভাব রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের? নচেৎ কিভাবে ভুল তথ্য সরকারি পোর্টালে আপলোড হয়ে যায়? না এতেও রয়েছে প্রভাবশালীর তত্ত্ব? এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হবে বলেই আশাবাদী শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।