Share this link via
Or copy link
মহা সড়কের জমি মাপজোককে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি পুরসভা এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়ায়। সোমবার সেখানে জমি মাপজোক করতে যান জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে ছিল ব্লক প্রশাসন এবং ধুপগুড়ি থানার পুলিসবাহিনী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের অন্ধকারে রেখে কোনও নোটিশ ছাড়াই এদিন জমি মাপজোক করতে আসে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন। এর জেরেই উত্তেজনা তৈরি হয়। জমি মাপতে বাধা দেন স্থানীয়রা। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পুলিস লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিস।
উল্লেখ্যে, মহিলারা রাস্তায় শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। খবর পেয়ে ওই ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর জয়ন্তী রায় ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরও জমি রয়েছে সেখানে। তিনি অভিযোগ করেন, বাধা পেয়ে পুলিস মারমুখী হয়ে ওঠে। লাঠিচার্জ শুরু করে বলে জানান তিনি। যাতে কয়েকজন অল্পবিস্তর আহতও হন।
মহিলাদের টেনে-হিঁচড়ে পুলিসের গাড়িতে তোলা হয়। পুরুষ পুলিশ দিয়ে মহিলাদের নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও এইসব অভিযোগ পুলিস অস্বীকার করেছে। গোলমাল পাকানোর অভিযোগে জয়ন্তী রায় সহ মোট ১০ জনকে আটক করে ধুপগুড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
একেবারে অন্য সুরে কথা বলেন বিডিও শঙ্খদীপ দাস। তিনি বলেন, জমি মাপার ব্যাপারে আগে সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিয়েছেন। কাদের কাদের জমিতে যাওয়া হবে, তা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কয়েকজনকে বারবার বলা সত্ত্বেও আসেননি। তাঁরাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কাউকে আটক করা হয়নি বলে দাবি করেন।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ধুপগুড়ি পুরসভায় যান আলোচনা করতে। এমনকি এদিন ধূপগুড়ি পুরসভার সামনে ধরনায় বসেছেন জমির মালিকরা। কেন তাঁদের না জানিয়ে প্রশাসন এমন ঘটনা ঘটাল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ধুপগুড়ি পুরসভার উপপুরপ্রধান রাজেশ সিং বলেন, কিছু বাসিন্দা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। কী ব্যাপারে এ অভিযোগ তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান। স্থানীয়দের অভিযোগ বিবেচনা করে দেখছেন।