১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Poush Mela: পৌষ মেলা আয়োজনে অনুমতির ভার বিশ্বভারতীর উপর ছাড়ল হাইকোর্ট, কাটল না জট
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-06 17:04:54   Share:   

ঝুলেই রইলো পৌষ মেলার (Poush Mela) ভবিষ্যৎ। বিশ্বভারতীর (VisvaBharati University) মাঠে পৌষ মেলা আয়োজনের জট কেটেও কাটলো না কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে মেলা করার অনুমতি দিক কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পৌষমেলার অনুমতি নিয়ে বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি। ৩ দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে, তারা কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। পাশাপাশি শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদকে বিকল্প জায়গার খোঁজ রাখতে বলেন প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।

পৌষমেলা নিয়ে বিশ্বভারতী হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁরা এবছর অনুমতি দিতে পারছেন না। গত ৭ বছর ধরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হয়ে এসেছে পৌষমেলা। কিন্তু এবছর তারা অনুমতি দেয়নি। কারণ পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মানা হয় না।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২৩ শে ডিসেম্বর ২০২২ সালে আসন্ন পৌষমেলার জন্য মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি বিশ্বভারতী। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বোলপুরের বাসিন্দা গুরুমুখ জেঠওয়ানি। কলকাতা হাইকোর্টে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করে, গত বছরগুলিতে শর্তসাপেক্ষে মেলার আয়োজন করার অনুমতি দিয়েছিল পরিবেশ আদালত বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু মেলায় হওয়া জমায়েত পরিবেশ রক্ষার শর্ত মেনে চলেন না। সেই কারণে বারবার পরিবেশ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

অপর দিকে, শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ জানিয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ রাজি না হলে ওই মাঠে মেলা করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন্তু পৌষ মেলা পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত মেলা। বাংলা এবং বাংলার বাইরে থেকেও বহু পর্যটক এই মেলার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। ফলে, বীরভূম জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মেলা করাটাও প্রয়োজন। বহু প্রাচীন কাল থেকে এই ঐতিহ্যশালী মেলা হয়ে আসছে। তাই আদালতের উচিত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসা।


Follow us on :