পাঁচদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হৃদয়ের শহর দার্জিলিং, জানিয়েছিলেন সেকথা। তাই দার্জিলিং সফরের শেষ দিনে একেবারে ঘরের মেয়ের মতো নিজের হাতে বানালেন মোমো।
বৃহস্পতিবারও প্রতিদিনের মতো প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তার ধারে দেখেন মোমোর দোকান। তখনই তাঁর ইচ্ছা হয় মোমো বানানোর। সেই মতো তিনি মোমো বানাতে শুরু করে দেন।সেখানেই তিনি জানান, কর্মসংস্থান বাড়াতে পুরুষদের নিয়েও তৈরি হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে পাশে পেয়ে আপ্লুত স্থানীয়রাও। এদিন দার্জিলিঙের সিংমারিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই কর্মসংস্থান বাড়াতে পুরুষদের নিয়েও স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির কথা বলেন তিনি।
এছাড়া বুধবারই ঘোষণা করেছিলেন, কলেজ স্ট্রিটের আদলে দার্জিলিঙে কফি হাউস হবে। নামকরণ করেন ক্যাফে হাউস। সেখানেই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। এমনকি এদিন গানও বাঁধতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এখন পর্যটন মরশুম চলছে। পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় বেশ ভালোই। এবারের সফরেও তিনি প্রতিদিন পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জনসংযোগ সারেন।
আজই শহরে ফিরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দুপুরে তাঁর শিলিগুড়ি আসার কথা। তারপর বাগডোগরা থেকে বিমান ধরে আজই কলকাতা ফেরার কথা তাঁর।
উল্লেখ্য, এবারের সফরে পাহাড়ের বিভিন্ন বোর্ডের প্রতিনিধিদের অভাব-অভিযোগও শোনেন তিনি। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে জেলা সফরে গিয়ে চায়ের দোকানে চা বানিয়ে খাইয়েছেন তিনি। কখনও আবার গ্রামের হোটেলের হেঁশেলে ঢুকে সরাসরি খুন্তি নাড়াতেও দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার বানালেন মোমো।