২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Mamata:'হঠাৎ করে চাকরি গেলে খাবে কী', নিয়োগ-কাণ্ডে চাকরিহারাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-03-14 19:38:33   Share:   

আমি যদি কোনও অন্যায় করি, আপনারা গালে যদি চড় মারেন কিছু মনে করবো না। যদি দেখি ইয়েস আমি গিল্টি। আমি জীবনে জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম (CPM) ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তাহলে তোমরা কেন খাচ্ছো? মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এই প্রশ্ন তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। সম্প্রতি নিয়োগ-কাণ্ডে কোর্ট (High Court) নির্দেশে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া একাধিক 'অযোগ্য'রা চাকরি খুইয়েছেন। এদিন সেই প্রসঙ্গ উসকে দিয়ে পরোক্ষে বিরোধী শিবিরকে খোঁচা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মঙ্গলবার জেলা আদালতের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঋষি অরবিন্দের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচনের এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'দেওয়ার ক্ষমতা নেই কাড়ার ক্ষমতা আছে। সিপিএম আমলে চাকরি সংক্রান্ত একটা কেসে বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় রায়ে বলেছিলেন, সংশোধন করে নাও যদি ভুল থাকে। চাকরি খাওয়ার কথা বলেনি।'

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, 'এখন রোজ কথায় কথায় তিন হাজার চাকরি বাদ, চার হাজার চাকরি বাদ। কেউ যদি নিচুতলায় অন্যায় করে থাকে আমাদের এখানে গণতান্ত্রিক দল। সবাই তো আমার তৃণমূলের ক্যাডার নয়, সবাই গভর্নমেন্টের ক্যাডার নয়। গভর্নমেন্টের ক্যাডার হলেও কোনও কোনও পার্টির সমর্থক। তাঁরা নিচে বসে যদি অন্যায় করে, আমার লোকও যদি অন্যায় করে, আমি ন্যায়ের পথে থাকবো। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো, এটা আমার চিরকালের স্বভাব।'

মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, 'কিন্তু আমি একটু ভেবে দেখতে বলবো। কাল দুজন আত্মহত্যা করেছেন। যদি কেউ ভুল করে থাকে তাঁর দায়িত্ব তাঁরা নেবে কেন? আজকে একটা ছেলেমেয়ে বিয়ে করে সংসার করছে। আজকে একটা ছেলেমেয়ে কাজ করে বলে বাবা-মাকে দেখতা পারে। হঠাৎ করে চাকরিটা চলে গেলে সে খাবে কী? আমি তো বলছি যারা অন্যায় করেছে অ্যাকশন নিন, টেক স্ট্রং অ্যাকশন। আমার কোনও দয়া নেই তাঁদের জন্য। কিন্তু ছেলেমেয়েগুলো যাতে ভিক্টিমাইজড না হয়, তাঁদের চাকরিটা আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন। আইন অনুযায়ী কোনও ভুল করে থাকে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হোক। দরকার হলে আবার পরীক্ষা দিক, আলাদা বন্দোবস্ত করে কোর্ট যেটা বলবে আমরা সেটাই করে দেবো।'

তাঁর মন্তব্য, 'সিদ্ধান্ত আপনারা দিন, আমি প্রধান বিচারপতিকে সামনে পেলাম না। সুব্রত দা-কে পেলাম, আমি শুধু বললাম এটা আমার মনের ভাবনা। আত্মহত্যার খবর শুনে আমার মন কাঁদছে। কথায় কথায় লোকের চাকরি খাবেন না। এটা রাজনীতি নয়। দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই হয়েছে কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কত কেস পড়ে আছে, তাকাবে না। কথায় কথায় পিআইএল, মানে পলিটিকাল ইন্টারেস্ট লিটিগেশন। আমরা আগে জানতাম পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন। কেউ কেউ এই জিনিস করছে, সবাই নয়।' 

তিনি জানান, 'আমাকে আপনাদের পছন্দ না হতে পারে। আমার পার্টিকে আপনাদের পছন্দ না হতে পারে। আমার সরকার এত মানবিক কাজ করলেও পছন্দ না হতে পারে। যা ইচ্ছা আমাকে দু'বেলা গালাগালি দিন। দরকার হলে মারুন আমায় কিছু মাইন্ড করব না। কিন্তু রাজ্যকে বদনাম করে ছাত্র-যুবদের খাওয়ার অধিকার কেড়ে নেবেন না।'    


Follow us on :