পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore Admin meet) প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করেন তিনি (CM Mamata)। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা ডিসেম্বর থেকে দিচ্ছে না কেন্দ্র। আমাদের থেকে টাকা তুলে নিয়ে গিয়ে, সেখান থেকেও রাজ্যের প্রাপ্য আটকে রয়েছে। বকেয়ার জন্য কর্মীদের টাকা দিতে অসুবিধা হচ্ছে। পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে, ওষুধের দাম বেড়েছে, ১০০ দিনের (MNREGA Schemes) কাজে টাকা নেই। গরিব মানুষ খাবে কী? এভাবেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তাঁর পরামর্শ, 'অন্য প্রকল্প থেকে বরাদ্দ নিয়ে ক্রাইসিস ফান্ড তৈরি করতে হবে। এই ফান্ড তৈরির দায়িত্বে মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদীকে ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে। ৪টি দফতর এই ফান্ড তৈরি দায়িত্বে থাকবে।'
সেচ, পূর্ত-সহ চারটি দফতরে যেহেতু সারা বছর কাজ হয়, তাই এরা ফান্ড তৈরির ব্যবস্থা করুক। এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ২১-৩১ মে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। গাছ কাটা, বালি কাটা, মাটি কেটে বিক্রি করা রেয়াত করবে না দল। যে-ই করুক, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। এদিন স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাকৃতিক সম্পদ এভাবে কেটে, তুলে বিক্রি করা যায় না। এমন কড়া ভাষাই শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।
এদিন তিনি প্রশ্ন করেন, 'গড়বেতায় কেন পঞ্চায়েতের কাজ হচ্ছে না। উন্নয়নের কাজ শেষ করতে হবে। যে কাজ করতে বলা হবে, সেই কাজ করতে হবে।' এদিন পিডাব্লুডির সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 'কাজ করাতে এত খরচ কেন? পিডাব্লুডি-র এত খাঁই কেন?', প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কাঠ চুরি কারা করছে? এদিন দেখার দায়িত্ব দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল লাগোয়া চারটি ব্লকের বিডিওকে। সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ জানিয়ে কাজ না হলে বিডিও সংগঠনকে জানানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশ, সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বেশি নজর রাখতে হবে। বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ট্রেনেও আসছে, দু'হাজার টাকা দিয়ে বন্দুক কিনে হামলা হচ্ছে এই রাজ্যে। এগুলো নজরদারি করতে হবে। নাকা চেকিং, টহলদারি বাড়াতে হবে। লাগাতে হবে সিসিটিভি।'
বিডিও এবং থানার আইসি এঁদের সঙ্গে স্থানীয়দের যোগাযোগ বেশি। তাই এঁরা মানুষের অভিযোগ সুষ্ঠুভাবে না শুনলে সমস্যা হবেই। এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী।