২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Anubrata: অনুব্রতর বাড়িতে ঘণ্টাখানেক সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, নজরে কি বিপুল সম্পত্তি?
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-09-16 13:29:50   Share:   

প্রায় একমাস পর বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়িতে ফের সিবিআই (CBI)। বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে এদিনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানা সুকন্যা মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করতে। এই দলে রয়েছেন মহিলা সিবিআই আধিকারিকও। এর আগে গত ১৭ অগাস্ট সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নিচুপট্টির বাড়িতে এসেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেদিন অসুস্থতার কথা বলে সিবিআই আধিকারিকদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সুকন্যা। শুক্রবার ফের সুপর্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের (Bolpur) বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এমনটাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রের খবর।

১১ অগাস্ট গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রতর গ্রেফতারির পর তৃণমূল নেতা এবং তাঁর পরিবারের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সেই সম্পত্তির মধ্যে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নাম রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এই সম্পত্তি কীভাবে সুকন্যা মণ্ডলের নামে হয়েছে? একজন স্কুলশিক্ষিকা এবং বেতনভুক হিসেবে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি। সেটা জানতেই অনুব্রতর বোলপুরের বাড়িতে সিবিআই। জানা গিয়েছে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সামনে বসিয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এদিন প্রায় ঘণ্টাখানেক সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

শুক্রবার বোলপুর পোস্ট অফিস এবং অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এদিকে বৃহস্পতিবার গোরু পাচার-কাণ্ডে আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রতকে ঘণ্টাখানেক জেরা করে সিবিআই। পাশাপাশি ওই জেলেই বন্দি ইসিএল কর্তাদের এদিন জেরা করে সিবিআই। এই নিয়ে মোট তিনবার জেলে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে জেরা করল সিবিআই। এদিন ফের খারিজ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জামিন। তাঁকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। একইসঙ্গে গ্রেফতারির সময় সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা অনুব্রতর দুটি মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠিয়েছে আদালত। সিএফএসএল এই ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করবে। এমনটাই সূত্রের খবর।

যদিও অনুব্রতর আইনজীবী এদিন এজলাসে ফোন বিকৃত করার আশঙ্কা করেছেন। তিনি সওয়াল করেন, 'প্রায় একমাস ধরে সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের দুটি ফোন বিকৃত হতে পারে। তাই আদালতের লকারে রাখা হোক ফোন দুটি। ফরেন্সিক দল আদালতে এসে ফোন বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষা করুক। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হোক আদৌ এই সময়ের মধ্যে ফোন ট্যাম্পার করা হয়েছে কিনা। অর্থাৎ নতুন কিছু জোড়া হয়েছে কিনা কিংবা মুছে দেওয়া হয়েছে কিনা।'


Follow us on :