গরু পাচারকাণ্ডে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। আসানসোলে বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, বিকাশ মিশ্র ও মহম্মদ লতিফের নামে চার্জশিটে রয়েছে।
গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জেলে কাটানোর সময় শেষ হয়েছে আজ অর্থাত্ সোমবার। এদিনই তাঁর সিবিআই হেফাজতে জেল যাপনের ৬০ দিন অতিক্রান্ত হয়। নিয়ম অনুযায়ী আজ সিবিআই চার্জশিট(chargesheet) পেশ না করতে পারলে সায়গল হোসেনের জামিন(bail) হবার সম্ভাবনা ছিল।
মূলত অনুব্রত মণ্ডলের এই প্রাক্তন দেহরক্ষী(body guard) ছিলেন রাজ্য পুলিসের(police) একজন কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিস কর্মী । তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে প্রথমেই সিবিআইয়ের খাতায় নাম আসে সায়গল হোসেনের । একাধিকবার নিজাম প্যালেসে তাঁকে তলব করে সিবিআই। পরে বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় সিবিআই।
সূত্রের খবর ,সিবিআই- এর পক্ষ থেকে বহু নথি জমা করা হয়েছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, বীরভূম সহ ১২ জায়গায় হানা দিয়ে প্রাপ্ত নথিতে সায়গলের যোগ পাওয়া গেছে। তার সঙ্গে আরও ১৪ টি জমির দলিল পাওয়া গেছে যেখানে অনুব্রত ও তার পরিবারের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। বীরভূমের মহম্মদ বাজারে এক বিশাল পেট্রোল পাম্পের হদিশও পাওয়া গেছে যেখানে সায়গল ও টুলু মণ্ডলের যোগসূত্র পাওয়া গেছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি প্রাপ্ত নথিতে আরও স্পষ্ট হয়েছে সায়গলের বাংলাদেশ-যোগ। তাঁর দাবি, সাধারণত বালি, পাথর, গরু, পেঁয়াজ ও চাল পাঠানো হত বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ওই পণ্য কিনে যে দাম দিতেন, তা সাদা টাকা হিসেবে গণ্য হত। এ ভাবে গরুপাচার-কাণ্ডের সমস্ত কালো টাকা(black money) সাদা করা হত বলে আদালতে দাবি করেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
আজ চার্জশিট পেশ করার পর ফের জামিন নাকচ হয় সায়গলের। পরবর্তী শুনানি ১৮ আগস্ট।