২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Anubrata: গরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআই স্ক্যানারে অনুব্রতর ভাগ্নে, ফের নোটিস পাঠিয়ে তলব সুকন্যাকে
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-10-12 16:36:26   Share:   

গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) সিবিআইয়ের র‍্যাডারে এবার অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষ। তাঁর মায়ের নামে রয়েছে শিবশম্ভু রাইস মিল। পাশাপাশি তাঁর বাবার নামেও একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই (CBI)। সেসব তথ্য জানার জন্য সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal) ভাগ্নেকে এমনটাই সূত্রের খবর। বুধবার আবার সিবিআই হানা দেয় বোলপুর রেজিস্ট্রি অফিসে। অনুব্রতর ভাগ্নে ও দিদি জামাইবাবুর সম্পত্তির উৎস খুঁজতেই নেতাজি মার্কেটের রেজিস্ট্রি অফিসে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

পাশাপাশি সোমবারের মধ্যে সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছে সিবিআই। তাঁর নামে থাকা দুটি সংস্থার আয়-ব্যায় সংক্রান্ত হিসেব এবং রাইস মিল সংক্রান্ত একাধিক তথ্য খতিয়ে দেখে এই তলব বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, বিশ্বজুড়ে মহামারী পরিস্থিতিতে অনুব্রত-কন্যার আয় বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৫১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩২১ টাকা। ভারতে প্রথম করোনা ধরা পড়েছিল ২০২০-র ৩০ জানুয়ারি। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রথম লকডাউন হয়েছে মার্চের শেষের দিকে। সেই সময় বহু মানুষ কাজ হারান। স্বজন হারান লক্ষাধিক মানুষ। সেই সময়কালে অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সুকন্যার বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯০ টাকা।

গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে দাখিল চার্জশিটে এই তথ্য তুলে ধরেছে সিবিআই। প্রাথমিক স্কুলের একজন শিক্ষিকার উল্কাগতিতে এই আয় বৃদ্ধির উৎস কী, জানতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। চার্জশিটে পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে অনুব্রতর একমাত্র কন্যার বার্ষিক আয় ছিল মাত্র ৩ লক্ষ ৯ হাজার টাকা। সাত বছরে তা বেড়ে হয় দেড় কোটি। বৃদ্ধির হার প্রায় ৫০ গুণ! অথচ ওই একই সময়ে (২০১৩-২০১৪ থেকে ২০২০-২০২১) খোদ অনুব্রতর আয় ৫ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা। তাঁর স্ত্রী ছবি দেবীর আয় ৪ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৪ লক্ষ টাকা।

অনুব্রতর পরিবারের সদস্যদের এই আয়বৃদ্ধির খতিয়ান চার্জশিটে তুলে ধরেছে সিবিআই। বিপুল আয় বৃদ্ধির রহস্য কী? চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর পারিবারিক সম্পত্তি ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মুনাফা বৃদ্ধি আয় বাড়িয়েছে বহুগুণ। ২০১৫-২০১৬ অর্থবর্ষে ওই মিলের মুনাফা ছিল মাত্র এক লক্ষ টাকা। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে সেই লাভের পরিমাণ লাফিয়ে হয়েছে ২ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ওই রাইস মিলের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন সুকন্যা। এছাড়াও দু’টি ‘অলাভজনক’ কোম্পানি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। মণ্ডল পরিবারের ছোঁয়ায় সেগুলিও মাত্র ক’বছরে ফুলে ফেপে ওঠে। আয়কর বিভাগে অনুব্রতর দাখিল করা তথ্য থেকে আয়বৃদ্ধির এই উল্কাগতির সন্ধান মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের একটি সূত্রের।


Follow us on :