রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে সিবিআইয়ের সাতজনের প্রতিনিধিদল আজ সকালেই পৌঁছে যায় গ্রামে। তাঁরা ঘটনাস্থলের ঢিল ছোড়া দূরত্বে ১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত লালন শেখের বাড়িতে যান। এই বাড়িটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলের খুব কাছে থাকায় সেখানে থাকা দুটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার আগে এখানে কোনও জমায়েত ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি মোবাইলে ছবি সংগ্রহ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। বেলা বাড়তেই অভিযুক্ত লালন শেখের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার জন্য বাড়ির তালা ভাঙা হয়।
জেলা পুলিসের উপস্থিতিতেই তালা ভেঙে সিবিআই আধিকারিকরা ভিতরে প্রবেশ করেন। উদ্ধার করা হয় একটি কুকুরছানাকে। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই কুকুরছানাটিকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল। যখন ভিতরে ঢুকছেন তাঁরা, তখন চিৎকার করে ওঠে কুকুরটি। এরপর আধিকারিকরা এই কুকুরটিকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীর হাতে তুলে দেন। এছাড়াও লালন শেখের বাড়ির উপরের যে অংশে নির্মাণ কাজ চলছে, সেখানেও তল্লাশি অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। এছাড়াও বাড়িতে থাকা অ্যালবামের ছবি দেখে, লালন শেখকে শনাক্তকরণের চেষ্টা সিবিআই আধিকারিকদের। এদিন পরে বাড়িটি সিল করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা।
ভাদু শেখ যে স্থানে খুন হয়েছেন, সেই স্থানের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। একই সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ভাদু শেখ খুনের কত সময় পর গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি উপ-প্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় ভাসান সেখ ও শফিক সেখকে গ্রেফতার করে রামপুরহাট থানার পুলিস। এই নিয়ে মোট ছয়জন গ্রেফতার হয়েছে।